Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

সাভার, ভাষানটেক, তেজগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এসময় উগ্রবাদী বই ও জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহৃত কথোপকথনের প্রমাণ উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন র‌্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী। এর আগে গত রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সাভার, ভাষানটেক, তেজগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ধরনের ১১টি উগ্রবাদী বই, ৪টি ট্রাভেল ব্যাগ, জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ও ১২৬টি জঙ্গিবাদী কথোপকথনের প্রমাণাদি জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলার মো. কলিম উল্ল্যাহ, শেরপুর জেলার তাসকিন হাসান আকন্দ ওরফে আনন্দ, নরসিংদী জেলার মো. জাহাঙ্গীর মিয়া ওরফে জহিরুল ইসলাম মাসুদ ও চট্টগ্রাম জেলার মো. আলী রাসেল। তারা সবাই সক্রিয় জঙ্গি সদস্য বলে স্বীকার করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার আল-ইসলামের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাভার, ভাষানটেক, তেজগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এদের মধ্যে মো. কলিম উল্ল্যাহ উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি অনলাইন/অফলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করেন। সে আনসার আল ইসলামের সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি অন্যদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি, ভিডিও ও লিফলেট প্রচার করে আসছিলেন এবং নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতেন।
মো. তাসকিন হাসান আকন্দ ওরফে আনন্দ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ আনসার আল ইসলামের সাথে জড়িত থেকে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি প্রচার করে আসছিলেন।
মো. জাহাঙ্গীর মিয়া ওরফে জহিরুল ইসলাম মাসুদ যাত্রাবাড়ীতে একটি মাদরাসায় অধ্যয়নরত ছিল। জহিরুল ইসলাম মাসুদ বেশ কিছুদিন যাবৎ আনসার আল ইসলামের সাথে জড়িত থেকে অনলাইনে উগ্রবাদী জিহাদের ভিডিও আপলোড করে সাধারণ জনগণকে উগ্রবাদী মতবাদ সম্পর্কে উদ্ধুদ্ধকরণের চেষ্টা করে আসছিলো। মো. আলী রাসেল কারওয়ান বাজারে একটি মাছের আড়তে কাজ করতেন এবং আনসার আল ইসলামের সাথে জড়িত থেকে অন্যান্যদের সাথে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহ চেষ্টা করে আসছিলেন।
র‌্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য সহচরদের গ্রেফতারে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আনসার-আল-ইসলাম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ