পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চেয়ারম্যান ও কমিশনার পদে নিয়োগযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকায় এবার প্রশাসন ক্যাডারে (আমলা) সয়লাব। দুদকে নিয়োগ পেতে আগ্রহী অনেক ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’র জীবনবৃত্তান্তই বাছাই কমিটিতে উপস্থাপিত হয়েছে। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় বৈঠকে তাদের বিষয়ে আলোচনা হয়। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর নির্ভরযোগ্য সূত্রের। আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটির প্রধান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভুইঞা কমিটির সচিব। গতকালের বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন অংশ নেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, গতকালের বৈঠকে অন্তত ১৯ জনের নাম ও জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এদের মধ্য থেকেই চ‚ড়ান্ত হয়েছে দুদক কমিশনার হিসেবে নিয়োগযোগ্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের তালিকা। বাছাই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট দুদক কমিশনার এবং চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবেন।
সূত্রমতে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৪ ফেব্রুয়ারি। দুই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় গতকালের বৈঠক। বৈঠকে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম-জীবনবৃত্তান্ত উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভুইঞা। উপস্থাপিত ব্যক্তিদের মধ্যে একডজনের বেশি রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব এবং সচিব। অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নাম-বায়োডাটা জমা পড়ে ৩ জনের। অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব, সচিবের মধ্যে মো. সিরাজুল হক খান, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো.ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিমান মন্ত্রণালয় থেকে অবসরে যাওয়া সিনিয়র সচিব মো.মহিবুল হক, সিনিয়র সচিব হিসেবে দুদক থেকে অবসরে যাওয়া মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, ভ‚মি মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া মো. সিরাজউদ্দিন আহমেদের নাম রয়েছে। বিচারকদের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. দলিল উদ্দিন (বর্তমানে একটি কমিশনে কর্মরত), অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. আবদুল মজিদ, হাইকোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার সামছুল ইসলামের নাম উপস্থাপিত হয়। তবে পুলিশ বাহিনী কিংবা সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার নাম কমিটি সচিবের উপস্থাপনায় আসেনি বলে জানায় সূত্রটি। গতকালের সভায় নতুন কিছু নামও যুক্ত হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।
প্রসঙ্গত: আগামী ১৩ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম মেয়াদ পূর্ণ করে বিদায় নিচ্ছেন। ১০ মার্চ তাদের শেষ কর্মদিবস। ওই দিন থেকেই কার্যত এ দু’টি পদ শূন্য হচ্ছে। শূন্যতা পূরণে ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’ বাছাইয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ৭(১) ধারা অনুযায়ী ‘বাছাই কমিটি’ গঠিত হয়। গত ২৮ জানুয়ারি গঠিত এ কমিটি পরপর তিনটি বৈঠক করল। এ কমিটি প্রতিটি শূন্যপদের বিপরীতে দুদক আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী দুইজন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবে। প্রেসিডেন্ট এর মধ্য থেকে দু’জনকে শূন্য পদে প্রথমে কমিশনার, পরে তিন কমিশনারের মধ্য থেকে একজনকে ‘চেয়ারম্যান’ নিয়োগ দেবেন। চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা আপিল বিভাগের বিচারতির সমান। কমিশনারগণ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। দুদক আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী আইনে, শিক্ষায়, প্রশাসনে, বিচারে বা শৃঙ্খলা বাহিনীতে অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি ‘কমিশনার হইবার যোগ্য’ বিবেচিত হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।