Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় কোরবানির পশু’র হাটে দেশী গরুর আমদানি বেড়েছে

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোয়াড়িয়া গতকাল সাপ্তাহিক হাটে ছাগলের আমদানি ছিল লক্ষ্যণীয়। গত বৃহস্পতিবার ডুমুরিয়া উপজেলার শাহাপুর হাটে এবং বুধবার দিঘলিয়া উপজেলার মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক হাট-সহ জেলার দু’টি হাটে দেশী গরুর আমদানি বেড়েছে। জেলার ফুলতলা, তেরখাদা ও ডুমুরিয়ার খামারীরা হাটে গরু আনতে শুরু করেছে। গেলবারের অবিক্রিত গরুও এবার হাটে এসেছে। শংকরজাতের ষাঁড়ের পরিমাণ বেশি। দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে।
খুলনা জেলার উল্লেখযোগ্য পশুর হাটগুলোর মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল, শাহাপুর, খর্ণিয়া, বানিয়াখালি, চুকনগর, গুটুদিয়া ইউপি চত্বর, তেরখাদা উপজেলার ইখুড়িকা টেঙ্গা ফাজিল মাদরাসা প্রাঙ্গণ, রূপসা উপজেলার শিরগাতি মাঠ, পূর্ব রূপসা বাজার, দিঘলিয়া উপজেলার কেটলা মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ, এমএম মজিদ হাইস্কুল মাঠ, পথের বাজার হাইস্কুল মাঠ, দাকোপ উপজেলার চালনা বাজার, বাইনতলা বাজার, খুটিখালি বাজার, ফুলতলা উপজেলা সংলগ্ন তাজপুর পশুর হাট, পাইকগাছা উপজেলার বাঁকা বাজার, কাশিম নগর, গদাইপুর, চাঁদখালী, জিরোপয়েন্ট, কয়রা উপজেলার গিলেবাড়ি, হায়াতখালি, বামিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, ঘুগরাকাঠি বাজার, দেউলিয়া, মহানগরীর ফুলবাড়িগেট বালুর মাঠ ও জোড়াগেট।
ফুলতলা উপজেলার তাজপুর পশুর হাটের ইজারাদার হানিফ মোহাম্মদ জানান, রবি ও বুধবার হাট বসতে শুরু করেছে। বাজার সংলগ্ন ২/৩টা মাঠে দেশী গরুর আমদানি বেড়েছে। যশোর জেলার মণিরামপুর, নড়াইল জেলার কালিয়া, পেরুলী, শাহাপুর, বেজেরডাঙ্গা, জামিরা ও গাজীরহাট থেকে খামারীরা গরু আনছে। দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে বলে তিনি দাবি করেছেন। ভারতীয় গরু এখনও পর্যন্ত আসেনি।
দিঘলিয়া উপজেলার মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ হাটের ইজারাদার শামীম হোসেন জানান, বুধবারের হাটে দেশী গরুর আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। আগামী বুধবারের হাটও বেশ জমজমাট হবে বলে তিনি আশাবাদী। তেরখাদা ও নড়াইলের কালিয়া থেকে বড় ধরণের ষাঁড় আসছে।
কেসিসি’র সূত্র জানায়, সোমবার থেকে জোড়াগেট ও ফুলবাড়িগেট বালুর মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসতে শুরু করবে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত হাট চলবে।
পশুর হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ছয় দফা কর্মসূচি নিয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে পশুর হাটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন, জাল নোট সনাক্তকরণে বুথ স্থাপনের বিষয়টি তদারকি, পশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা ও চামড়া বেচা-কেনার স্থানগুলোতে সতর্কতা।
জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া, বরুণা, ছয়বাড়িয়া, গজেন্দ্রপুর, থুকড়া, মিকশিমিল, রুদাঘরা, খর্ণিয়া, রানাই, বদনিয়া, চুকনগর, মাগুরঘোনা, কোমরাইল, সোলগাতিয়া, কয়রা উপজেলার আমাদী, কিনুকাটি, গড়আমাদী, মসজিদকুড়, ফতেকাটি, বাগালী, জয়পুর, জোড়শিং, হায়াতখালী, হোগলা ও অন্তাবুনিয়া গ্রামে উন্নতজাতের গবাদী পশু লালন-পালন হচ্ছে। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলায় ৭ হাজার খামারী ২৪ হাজার ৯০টি গরু এবং ৭ হাজার ৮৫৩টি ছাগল লালনপালন করেছে। গেল বছর ৩৮ হাজার ৬৫২টি গরু এবং ৫৯ হাজার ১২৫টি ছাগল ঈদ-উল আযহায় জবাই হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনায় কোরবানির পশু’র হাটে দেশী গরুর আমদানি বেড়েছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ