Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাইকোর্টে পাঁচ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স

ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ ৫ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথি এখন হাইকোর্টে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত থেকে আজ অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছেছে। সাধারণত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।

এটিই ‘ডেথ রেফারেন্স’ হিসেবে পরিচিত। ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করে থাকেন। এখন সরকার যদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করতে চান তাহলে রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হয়।

অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মেজর জিয়াউল হক (চাকরিচ্যুত) ওরফে জিয়াসহ পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদন্ড এবং উগ্রপন্থী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া মামলায় মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহকে মৃত্যুদন্ডাদেশের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা চলার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। ছেলে হত্যার বিচারের আশায় অসুস্থ শরীরে হুইল চেয়ারে বসে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর আদালতে এসে সাক্ষ্য দেন ড. অজয় রায়। এর দেড় মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান অজয় রায়। তিনি দেখে যেতে পারলেননি পুত্র হত্যার বিচার।

২০১৯ সালের ১৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (পরিদর্শক) মো. মনিরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ১ আগস্ট ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গত ২১ জানুয়ারি সাক্ষ্য শেষ হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা-মামলা

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
২২ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ