পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720118298](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে অপহৃত মাদরাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২নং আসামি জোবায়েরকে সাভার ট্যানারি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনো পলাতক রয়েছে তিন নং আসামি শামছুল আলম রাসেল। গতকাল বিকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সাভার থেকে অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করার পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক সুরাইয়া সুলতানা ও সেতারা বেগম ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা করেন। গতকাল বিকালে নির্যাতিতাকে আদালতে হাজির করলে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সোনিয়া আক্তার ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরআগে মামলার ৬নং সাক্ষী মোজ্জামেলকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক নবনীতা গুহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ রাতে মামলার আসামি ফয়সাল ও জোবায়ের ঘরে ডুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে। ঘর থেকে যাওয়ার সময় তারা আমার আলমিরা থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন ও দুইটি আংটি নিয়ে যায়। গত ২০২০ সালের ৫ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে ইমন ও রাসেল ঘরে ডুকে নির্যাতিতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার তিন মাস পর রাসেলকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকার মিরপুর-২, ৭নং রোডের ৩নং গলির জান্নাত নামের এক নারীর কাছ থেকে মেয়েকে নিয়ে আসেন তার মা। ওই তিন মাসে অপহৃতাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রাসেল।
এরপর বিভিন্ন সময় ইমন বাড়িতে এসে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওইছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সবশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে আবারও অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর গত শনিবার সন্ধ্যায় সাভারের পূরগাও থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি ফয়সাল, সাইফুল ইসলাম ইমন ও পরে জোবায়েরকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ইমন ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছে আর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ফয়সাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।