পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে আধুনিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী আর্মিরা যে ক্যাম্প স্থাপন করেছিল সেগুলো তারা ছেড়ে আসছে। সেজন্যই সে ক্যাম্পে আর্মির বদলে পুলিশ মোতায়েন করার জন্য একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে বৈঠক শেষে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় মাঝে মধ্যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনাকা্িক্ষত ঘটনা হয়েই চলছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন এ জায়গাটায় লক্ষ্য রাখতে। আমরা একজন অতিরিক্ত সচিবের মাধ্যমে তিনটি জেলায় কোথায় কী হচ্ছে তার একটি প্রতিবেদন করা হয়েছে। সেখানে কিছু সুপারিশও ছিল। আমাদের যত স্টেকহোল্ডার ছিল তাদের সবার সঙ্গে আলাপ করেছি। একইসঙ্গে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে যারা বসেছিলেন সবার সঙ্গে আমরা বসেছি। উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। এরপর আমরা সর্বশেষ যে সিদ্ধান্তে এসেছি সেখানে একটি শান্তি চুক্তি হয়েছিল। সে চুক্তি অনুযায়ী কিছু কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়েছে। কিছু কিছু বাস্তবায়ন হয়নি। সে বিষয়ে সন্তু লারমা আমাদের বলেছেন তিনি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে জিনিসটা চাচ্ছি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পার্বত্য জেলার শান্তি চুক্তি রক্ষার্থে আর্মির যে ক্যাম্প স্থাপন করেছিল সেগুলো তারা ছেড়ে আসছে। ক্যাম্প ছেড়ে এলেও আমাদের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। সেজন্যই সে ক্যাম্পে আর্মির বদলে পুলিশ মোতায়েন করার জন্য একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে বিষয় সন্তু লারমাকে আমরা জানিয়েছি। আমরা এ বিষয় নিয়ে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবনে বহু সভা করেছি। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় অন্য যে কয়টি জেলায় যেভাবে চলছে পার্বত্য চট্টগ্রামের এ তিনটি জেলা যেন একই পদ্ধতিতে চলে। শুধু শান্তি-শৃঙ্খলা নয়, উন্নয়নসহ সব কিছু। এজন্যই সন্তু লারমাকে আমি বিশেষভাবে দাওয়াত দিয়েছিলাম, তিনি আসছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্তু লারমার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। তিনিও অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, সেগুলো নিয়ে আমরা আবার বসবো।
আগে অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পে এখন পুলিশ ক্যাম্প হবে বিষয়টা কী এ রকম জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমার মূল লক্ষ্য হলো পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা। আর্মি ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ যাবে বিষয়টা ঠিক সে রকম নয়। যেখানে প্রয়োজন পুলিশ সেখানে যাবে। আমরা এ তিন জেলায় আধুনিক পুলিশ মোতায়েন করবো যাতে সেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
পাহাড়ে চাঁদাবাজি বেড়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে আমরা সন্তু লারমার সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে বলেছি পাহাড়ে খুন খারাবি শুধু নয়, চাঁদাবাজিও হচ্ছে। সব বিষয়ে সহযোগিতার ঐক্যমত প্রকাশ করেছেন সন্তু লারমা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।