পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না। এই কালো আইনকে কবর দেওয়ার সময় এসেছে। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের খোঁজ কি পাওয়া যায়নি? পাওয়া গেছে। তার হত্যাকারী হলো সরকার ও তার আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হলো সরকারি বাহিনীর একটি অধ্যাদেশ। এই সিকিউরিটি আইনের সাথে যারা জড়িত তারা প্রত্যেকে এই হত্যার সাথে জড়িত। বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে লেখক মুশতাক আহমেদের গায়েবানা জানাজা প‚র্ববর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যা যেমন মর্মান্তিক, আমি মনে করি মুশতাকের হত্যাও তেমনি একই ধরনের মর্মান্তিক। শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করলেই হবে না, এই হত্যার জন্য যারা দায়ী এমনকি যদি আপনারও দায় থাকে, তাহলে আপনাকেও দায় নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে জনগণের কাছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে বিচারপতিদের দায়িত্ব পরিষ্কারভাবে বলা যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে এই আইনকে কবর দিয়ে দেন। আমি যদি আপনার বিরুদ্ধে মানহানিকর কিছু বলি তাহলে আপনাকেই মানহানির মামলা করতে হবে, কোনো পুলিশ কনস্টেবলকে দিয়ে নয়। ডিজিটাল অ্যাক্ট দিয়ে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারে না।
বিচারপতিদের উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ট্রাস্টি আরও বলেন, আপনাদেরও দ্বায়িত্ব আছে, আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে আপনারা উন্মোচন করবেন, মুশতাক হত্যার জন্য দায়ী কারা।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, তানজিম উদ্দিন খান, রুশাদ ফরিদী, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারাসহ সাধারণ নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদ গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদসহ কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। মুশতাক সেই থেকে কারাবন্দী ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।