পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুটি চাঁদাবাজির ও একটি চুরির মামলার পর আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দুটি প্রতিষ্ঠানে একযোগে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ‘গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’ এবং ‘গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেড’ কারখানায় একযোগে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। ভ্রাম্যমান আদালতে তাকে সহায়তা করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শেখ রাসেল হাসান ও সাভার উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শেখ রাসেল হাসান জানান, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলসের নোংরা পরিবেশ, মেয়াদ উত্তীর্ণ কাঁচামাল জব্দ, তাপমাত্রার হেরফের পাওয়া যায়। ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ লাখ জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া এন্টিবায়টিক বিভাগ সিলগালা করে দিয়েছেন। গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অভিযান চালায়। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নোংরা পরিবেশ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। অভিযানে র্যাব ছাড়াও পুলিশ, ঔষধ প্রশাসন, সিভিল সার্জন এ অভিযানে অংশ নেয়। এর আগে আশুলিয়ায় জমি দখলের চেষ্টা, ভাংচুর, চুরি ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে এই তিন মামলায় আগাম জামিন নিয়েছেন তিনি। ইতোপ‚র্বে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দেয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত রোববার রাতে আশুলিয়া থানায় বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ, চুরি, ভাংচুর, ক্ষয়ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগে আদাবর মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মৃত সৈয়দ আশরাফ আলীর ছেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৈয়দ সেলিম আহমেদ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামীরা হলেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।
গত ১৫ অক্টোবর রাতে কোটি টাকা চাঁদাবাজীর অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, ও জমি বেচাকেনার মধ্যস্থতাকারী আওলাদ হোসেনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার খামারহাটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী। গত ১৯ অক্টোবর এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আবারও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় মো. হাসান ইমাম নামে এক ব্যক্তি। এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত ন’টা পর্যন্ত হাসপাতালে অভিযান চলছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।