রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বেতাগী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা
বেতাগীতে দুই সন্তানের জননী রেহেনা আক্তার (২৮) যৌতুকের মামলা করেও স্বামী মো. মিলন আকনের নাগাল পাচ্ছে না। বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। দুই কন্যা সন্তানসহ অসহায় এই গৃহবধূ বাবার সংসারে ঠাঁই নিয়ে এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ি উপজেলার মোকমিয়া ইউনিয়নের করুনা গ্রামে। স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবেশী মো. মোতালেব আকনের ছেলে মো. মিলন আকনের সাথে পারিবারিক সম্মতিতে ২০০৩ সালের ২১ এপ্রিল রেজিস্ট্রকৃত কাবিন করে তাদের বিয়ে হয়। একেক করে তাদের জীবনে আসে দুটি কন্যা সন্তান। বড় মেয়ে মিতু আক্তার (১০) ও ছোট মেয়ে মনি (৩)। সুখের কথা চিন্তা করে রেহেনার গরিব বাবা তার সাধ্যমত উপহার সামগ্রী দিয়ে মেয়েকে তুলে দেয়। স্বামী এতেও তৃপ্ত না থেকে পুনরায় যৌতুকের জন্য উঠতে-বসতে যন্ত্রণা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তার বাবা নগত অর্থ দিয়ে বাড়ির সামনে স্বামীকে একটি মুদি দোকান দিয়ে দেয়। কিছুদিন পর সে দোকানের মালামাল বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে। রেহেনা আক্তার অভিযোগ করেন, নানা অজুহাতে সন্তানসহ তাকে খোরপোষ না দিয়ে দিনের পর দিন বাবার বাড়িতে ফেলে রাখে। স্ত্রী ও সন্তানদের না জানিয়ে স্বামী মিলন আকন হঠাৎ এলাকা ত্যাগ করেন। এ দিকে শ্বশুর মোতালেব আকন রেহেনাকে তার ছেলে মিলন আকনকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বাবা নুর মোহাম্মদ স্থানীয় ইউপি পরিষদে সামান্য বেতনে গ্রাম্য চৌকিদারের চাকরি করেন। তাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে থানায় একটি জিডি করে। ঘটনার দিন গত ৭ আগস্ট ২০১৩ উপলক্ষে স্বামীর বাড়িতে অবস্থানের খবর পেয়ে রেহেনা বাবাসহ সন্তানদের নিয়ে তাদের বাড়িতে ফিরে গেলে আবারো ২ লক্ষ টাকার যৌতুক দাবি করে। দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বির্তকের সৃষ্টি করে ঘর থেকে নামিয়ে দেয়। মিলন আকনের বাবা মোতালেব আকন অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদেও একাধিকবার শালিসি বৈঠক হয়। কোন সূরহা না হওয়ায় অবশেষে স্বামী মিলন আকন ও তার শ্বশুর মোতালেব আকনের বিরুদ্ধে বরগুনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করে। আদালত আসামি মিলন আকনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। সেই থেকে আসামি মিলন আকন পলাতক রয়েছে। মামলা করায় প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করার জন্য রেহনারসহ তার মামা-বাবার বিরুদ্ধে থানায় মিলন আকন গুমের একটি মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুল আলম সুজন জানান, মিলন আকনের বিরুদ্ধে তার পরিষদে স্ত্রী রেহেনার যৌতুক ও খোরপোষ দাবির মামলা রয়েছে। এ বিষয় বৈঠকও হয়েছে। তবে কোন সুরহা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।