Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আবারো যুদ্ধবিরতি চুক্তি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৫০ পিএম

ভারত ও পাকিস্তানের বিতর্কিত অঞ্চল কাশ্মীরের সীমান্তে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে সম্মত হয়েছে দেশ দুটি। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনাকে দক্ষিণ এশিয়ার দুই বিবাদমান প্রতিবেশীর সম্পর্কোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের দ্য ডিরেক্টর-জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দুই পক্ষই নিয়ন্ত্রণ রেখায় ও সকল সেক্টরে সকল চুক্তি, সমঝোতা ও যুদ্ধবিরতি কঠোরভাবে মেনে চলতে সম্মত হয়েছে যা মধ্যরাত (শুক্রবার) থেকে কার্যকর হবে।’
দুই পক্ষের মধ্যকার আলাপ মুক্ত, অবাধ ও আন্তরিক পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ‘বিশ্বের অন্যতম বিপদজনক সীমান্ত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে প্রায়শই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেনাসদস্য ছাড়াও দুই দেশের সেনাদের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে অঞ্চলটির মানুষ হতাহত হয়।’

কাশ্মীরে সীমান্ত বিভাজনকারী রেখা লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে ২০০৩ সালেও একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি করেছিল এশিয়ার পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই প্রতিবেশী। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উভয়পক্ষ সেই চুক্তি বারবার লঙ্ঘন করেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানাসুরে, গত বছর ভারতের হালকা অস্ত্র এবং কামানের গোলায় পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের ২৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় এবং ২৫৭ জনের বেশি আহত হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ভারতের বাহিনী অন্তত ১৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ২০২০ সালে লাইন অব কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান কমপক্ষে ৫ হাজার ১৩৩ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে ভারতে ২৪ সেনা, ২২ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১৯৭ জন আহত হয়েছে।

নয়াদিল্লির এক সরকারি কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাসরত মানুষের কথা ভেবেই এমন অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তাতে প্রায়শই সাধারণ মানুষ বন্দুকযুদ্ধের কবলে পড়েন। সহিংসতার মাত্রা ও সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের ব্যাপারে ভারত সতর্কভাবে আশাবাদী।

সীমান্তে দুই পক্ষের গোলাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারত শাসিত কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মাহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, কাশ্মীরের শান্তি ফেরানোর জন্য দুই দেশের মধ্যে মিটমাট এবং রাজনৈতিক সংলাপে বসা উচিত। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ