পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন স্বশরীরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েও কোভিড-১৯ সঙ্কটের কারণে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøনকেনের সঙ্গে টেলিফোনে বৈঠক সেরেছেন। গত ২২ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দিতে ড. মোমেন তিনদিনের সফরে ঢাকা ত্যাগ করেন।
গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আলোচনার শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য বিধিনিষেধের কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেনের সঙ্গে শারীরিকভাবে সাক্ষাৎ করতে পারেননি তার জন্য। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøনকেন সাধারণ লক্ষ্য এবং পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত টেলিফোনে আয়োজিত কথপোকথনে বৈশ্বিক ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার সম্মত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ককে একটি ক্রমবর্ধমান ও সুদৃঢ় ভিত্তিতে গড়া হবে বলে অভিহিত করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় আমেরিকার বিশ্ব নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করে একটি শক্তিশালী জনপ্রিয় ম্যান্ডেট নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধরে রাখার জন্য নতুন মার্কিন প্রশাসনকে অভিনন্দন জানান। তিনি কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ পরিচালনা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের পদ্ধতিরও প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন নেতৃত্বের সাথে ঘনিষ্ঠ ও টেকসই যোগাযোগ বজায় রেখে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার সম্পর্ককে কৌশলগত স্তরে উন্নীত করতে চায়। এক্ষেত্রে তিনি দু›দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে সফর বিনিময়কে জোর দেন। এই প্রসঙ্গে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। তিনি আর্থ-সামাজিক সাফল্য দেখতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং বলেন, আমেরিকা বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সুরক্ষা অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।