মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের প্রথম মানুষ হিসাবে চাঁদের বুকে পা রেখেছিলেন মার্কিন নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং। তিনি আসার সময় চাঁদ থেকে পাথর নিয়ে এসেছিলেন। মানুষের আগ্রহ মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাশনাল হিস্ট্রিতে সেই পাথর রাখা আছে। অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, নিল আর্মস্ট্রংয়ের ওই চাঁদের পাথরটি কাগজে-কলমে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করেছিল।
চাঁদের পাথর দেখতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক নিউইয়র্কের ওই জাদুঘরে যান, ছবি তোলেন। এসব পাথর প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে চাঁদ থেকে আনা হয়েছিল। এগুলো সত্যিকার চাঁদের পাথর; রেপ্লিকা নয়। মানুষ হিসেবে চাঁদে প্রথম পা রাখা নভোচারী নিল আর্মস্ট্রংয়ের আনা পাথরটিও ওই জাদুঘরে আছে। তবে ওই পাথরটিকে রীতিমতো শুল্কায়ন প্রক্রিয়া মেনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। বলা যেতে পারে, চাঁদের পাথরই হলো পৃথিবীর বাইরে থেকে আনা মানুষের প্রথম আমদানি পণ্য।
এই ঘটনা বিশ্ব শুল্ক ব্যবস্থার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) দেশে শুল্ক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এসব প্রশিক্ষণে শুল্ক ব্যবস্থার ইতিহাস পড়াতে গিয়ে শুল্কায়নের গুরুত্ব বোঝাতে প্রশিক্ষকেরা চাদের পাথর আমদানির বিষয়টি উদাহরণ হিসাবে দেন। চাঁদের পাথরের আমদানিকারক ছিল ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। আমদানি পণ্যের যানবাহন হিসেবে অ্যাপোলো-১১ দেখানো হয়েছে। এমনকি এসব পাথর ও ধূলিকণা যে চাঁদ থেকে আনা হয়েছে, তা-ও ঘোষণা দিতে হয়েছে। সেই শুল্কায়ন ফরমে অ্যাপোলো-১১-এর ক্রু হিসেবে নিল আর্মস্ট্রং, অ্যাডুইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স সই করেন।
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১-তে চেপে নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং, অ্যাডুইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স চাঁদের দেশে যান। তাঁদের মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে প্রথম কোনো মানবসন্তান পা রেখেছিল। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার নতুন এক দিগন্তের সূচনা হয়। ফিরে আসার সময় জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারে গবেষণার জন্য কয়েকটি পাথর ও কিছু ধূলিকণা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তারা। এসব পাথর ও ধূলিকণা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নামাতে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়েছে। এই চমকজাগানো ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬৮ সালের ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের হনলুলু এয়ারপোর্টে। এই এয়ারপোর্ট দিয়েই চাঁদের পাথর ও ধূলিকণা খালাস করা হয়েছিল। রীতিমতো যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বিভাগের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এসব পাথর ও ধূলিকণা খালাস হয়েছিল, যা বিশ্বের শুল্ক ব্যবস্থার ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। তবে এসব পণ্য আমদানির জন্য কোনো শুল্ক পরিশোধ করতে হয়নি। সূত্র : সিয়াটল টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।