শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক পরিচয়ে বিপুল আহাম্মেদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের কাদুরগাঁও গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে বিপুল আহাম্মেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। জানাযায়, কোন লাইসেন্স না থাকলেও শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক পরিচয় দিয়ে প্রায় ৪/৫ বছর ধরে নানা শ্রেনী পেশার সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। বিপুল আহাম্মেদের ব্যবহৃত ভিজিটিং কার্ডে ঠিকানা অনুযায়ী শ্রীনগর ডাক বাংলো সুপার মার্কেটের নিচতলায় ও এম রহমান কমপ্লেক্সের বিপরীত পাশে মক্কা কমপ্লেক্সের নিচতলায় তার নিজস্ব চেম্বার রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ খোজ নিয়ে জানাগেছে, ওই ঠিকানায় তার নিজস্ব কোন চেম্বার নেই। এছাড়া সে কোন লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখকও নয়। সে দীর্ঘ দিন ধরে শ্রীনগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রাজু, লিটনসহ অন্যান্য দলিল লেখকের অফিস ব্যবহার করে দলিল লেখার কাজ করে থাকে। আর ওই সব দলিল লেখকের অফিস ব্যবহারের বিনিময়ে তাদেরকে কিছু টাকা ধরিয়ে দেন।

কয়েকজন ভুক্তভোগী জানায়, বিপুল আহাম্মেদের সাথে শ্রীনগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসারের ভাল সম্পর্ক রয়েছে এমন কথা বলে সে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমির পাওয়ার দলিল নিয়ে থাকে। এর পর ওই পাওয়ার নেয়া দলিলের জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে বায়না করে প্রতারণা করে আসছে। এছাড়া পর্চা ও দলিল উঠানো, নামজারী ও জমাভাগ করার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিপুল আহাম্মেদ বলেন, আমার দলিল লেখার কোন লাইসেন্স নেই কিন্তু ভিজিটিং কার্ড করে কয়েক জনকে দিয়েছি মাত্র। লাইসেন্স ছাড়া বিপুল আহাম্মেদের দলিল লেখক পরিচয় বিষয়ে শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মাজাহার মোক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কোন লাইসেন্স নেই। এ ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে শ্রীনগর সাব-রেজিস্টার রেহানা বেগম বলেন, বিপুলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, দলিল লেখকের সহকারী হিসেবে চিনি।