Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

২১ বছর পর এভারটনের অ্যানফিল্ড জয়

রিয়ালের স্বস্তি, হেরেই গেল বায়ার্ন

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

গত বছর কী দূর্দান্ত এক মৌসুমই পার করেছে লিভারপুল। জিতেছে লিগসহ ইউরোপিয় সম্ভাব্য সব শিরোপা। করোনাকাল পেরিয়ে সেখান থেকেই শুরু করেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তবে হঠাৎই ছন্দপতন অ্যানফিল্ড শিবিরে। জোয়ারের পর যেন ভাটার টানে চ‚ড়ায় থাকা ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে লিভারপুল। চলতি শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে এভারটনের বিপক্ষে হারের তেতো স্বাদ পেল দলটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আরও দীর্ঘ হলো তাদের দুঃসময়।

গতপরশু রাতে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ২-০ গোলে হেরেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। তৃতীয় মিনিটেই রিশার্লিসন এভারটনকে এগিয়ে নেওয়ার পর ম্যাচের আধা ঘণ্টা পেরুনোর আগেই ব্যবধান বাড়ান গিলফি সিগার্ডসন। এরপর চেষ্টা করেও আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল। গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লাইপজিগকে ২-০ গোলে হারিয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছিল দলটি। কিন্তু লিগে ফিরেই আবার মুখ থুবড়ে পড়ল তারা। ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম লিগ ম্যাচে অ্যানফিল্ড থেকে জয় নিয়ে ফিরল এভারটন। সেবার ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। এছাড়া ২০১০ সালের পর এই প্রথম লিভারপুলের বিপক্ষে আগে গোল দিল এভারটন। সেবারই সবশেষ মার্সিসাইড ডার্বিতে জিতেছিল দলটি। তবে একটি জায়গায় স্বতন্ত্র এভারটন। ১৮৮৪ সালে প্রথম দল হিসেবে অ্যানফিল্ডে জয়টিও ছিল নগর প্রতিদ্ব›দ্বীদের।
আসরে এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে হারল লিভারপুল। ঘরের মাঠেও লিগে হারল টানা চার ম্যাচ, ১৯২৩ সালের পর প্রথম। ২৫ ম্যাচে সপ্তম হারের স্বাদ পাওয়া লিভারপুল ৪০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে। এক ম্যাচ কম খেলে ১২ জয় ও চার ড্রয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে এভারটন। রাতের অন্য ম্যাচে সাউাম্পটনের সঙ্গে ১-১ ড্র করা চেলসি ২৫ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে। ২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ৪৬ পয়েন্ট করে নিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দুইয়ে ও লেস্টার সিটি আছে তিনে।

একই রাতে করুণ পরিণতি হতে যাচ্ছিল চোটজর্জর রিয়াল মাদ্রিদেরও। দলের সেরা দুই তারকা স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা ও অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের অভাবে অনভিজ্ঞ আক্রমণভাগ নিয়ে খুব ভুগল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। প্রথমার্ধে লক্ষ্যে রাখতে পারল না একটা শটও। দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় হলো না খুব একটা পরিবর্তন। তবে দারুণ এক হেডে ব্যবধান গড়ে দিলেন কাসেমিরো। রিয়াল ভ্যালাদলিদের বিপক্ষে কষ্টের জয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমাল জিনেদিন জিদানের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে লা লিগার ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। ভ্যালাদলিদের বিপক্ষে তারা টানা তিন ম্যাচ জিতল একই ব্যবধানে। তবে ভাগ্য সহায় হলে ব্যবধান বাড়তে পারতো আরো। ২৩ ও ৩০তম মিনিটে দুইবার জালে বল পাঠান মারিয়ানো দিয়াস। তবে দুবারই অফসাইডের জন্য গোল মেলেনি।

এই জয়ে অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে ব্যবধান তিনে নামিয়ে আনল রিয়াল। ২৪ ম্যাচে ১৬ জয় ও চার ড্রয়ে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। রাতের অপর ম্যাচে লেভান্তের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো। চলতি আসরে দলটির এটি দ্বিতীয় হার। সবশেষ চার ম্যাচে দলটির জয় কেবল একটি, ড্র দুটি। ২৩ ম্যাচে ডিয়েগো সিমিওনের দলের ৫৫ পয়েন্ট। ২২ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা।

এদিকে, ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে যেন উল্টো রথে বায়ার্ন মিউনিখ। আগের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে হার এড়াতে পারলেও এবারে পারল না তারা। বুন্দেসলিগায় শিরোপাধারীদের হারিয়ে দিল আনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট। প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছে হান্স ফ্লিকের দল। দাইচি কামাদা ও আমিন ইউনেসের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় ফ্রাঙ্কফুর্ট। পরে ব্যবধান কমান রবের্ত লেভানদোভস্কি। আসরে ২১ ম্যাচে তার গোল হলো ২৬টি।

লিগে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ জয়হীন রইল টানা আটবারের চ্যাম্পিয়নরা। গত সপ্তাহে ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পর সোমবার লিগে ঘরের মাঠে আর্মিনিয়ার বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে তারা। গত অক্টোবরে দুই দলের প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ৫-০ ব্যবধানে জেতে বায়ার্ন। আসরে তৃতীয় হারের স্বাদ পাওয়া বায়ার্ন ২২ ম্যাচে ১৫ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। সমান ম্যাচে ১১ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে চারে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ