পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গত শনিবার রাতে শ্যামপুরের নিউ জনতা মার্কেটের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকের ধাক্কায় কাবুল নামের এক পরিবহন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট এলাকায় লরির ধাক্কায় এক কিশোর শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মোহাম্মদ কিবরিয়া (১৩)। বাবার নাম শহিদ মিয়া। কিবরিয়া বিমানবন্দর এলাকায় একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতেন।
অন্যদিকে, বগুড়া যাত্রীবাহী বাস ও পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয়গাড়ীর চালকসহ ছয়জন ও মাগুরায় দ্রুতগামী ইটবোঝাই ট্রলির চাপায় একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আমাদের সংবাদদাতাদের তথ্যে প্রতিবেদন-
স্টাফ রিপোর্টার জানায় : শ্যামপুর থানার এসআই সমরেশ কুমার দাস বলেন, শ্যামপুরের নিউ জনতা আয়রন মার্কেটের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় একটি ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন কাবুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টা ১০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক ময়লার ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নিহত কাবুল বরিশালের কোতোয়ালি উপজেলার কর্নকাঠী গ্রামের সালাম খানের ছেলে। শ্যামপুরের ধোলাইপাড় এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। রাইদা পরিবহনে হেল্পার হিসেবে কর্মরত ছিলেন কাবুল। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট এলাকায় লরির ধাক্কায় এক কিশোর শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মোহাম্মদ কিবরিয়া (১৩)। বাবার নাম শহিদ মিয়া। কিবরিয়া বিমানবন্দর এলাকায় একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতেন। রাতে তিনি মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিল। সেসময় বিমানবন্দর ভিআইপি গেট এলাকায় একটি লরি তার বাইককে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়েন কিবরিয়া। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কিবরিয়ার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুরে। পরিবারের সঙ্গে থাকতেন উত্তরার বালুর মাঠ এলাকায় ভাড়া বাসায়। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ দুটি ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়া ব্যুরো : বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয়গাড়ীর চালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন যাত্রী। আহতদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোর ছয়টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর পৌরসভার কলেজ রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- দুর্ঘটনা কবলিত বাস চালক শেরপুর পৌর শহরের গোসাইপাড়া এলাকার মনিন্দ্র নাথ সাহার ছেলে বাবলু সাহা ওরফে বাঘা (৫৫), একই বাসের হেলপার উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডা গ্রামের নজর আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), ট্রাক চালক খুলনা সদর উপজেলার আমজাদ হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২১), বগুড়া জেলার সদর উপজেলার হাজরাদিঘী গ্রামের তছলিম উদ্দীনের ছেলে ইয়াসিন আলী (৬৫), তার স্ত্রী হোসনে আরা ফিরোজা (৬০) ও একই উপজেলার দক্ষিণ নাটাইপাড়া গ্রামের মিন্টু সেখের ছেলে আকতার উদ্দিন (৪৫)।
এছাড়াও আহতদের মধ্যে গুরুতর ইয়াকুব আলী (৪২), ইসতিয়াক হোসেন (১৮), ইমতিয়াজ হোসেন (৩), মর্জিনা বেগম (৪০), ফিরোজ আলী (৩৫), ছালমা বেগম (৩০), নাদিয়া আক্তার (৩৫), মৌসুমী আক্তার (৩২), পারভীন খাতুন (২৬), লাভলী আক্তারকে (৩৫) বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের সবার বাড়ি পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলায়। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাওয়ায় তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত বাস-ট্রাক মহাসড়কের মধ্যে উল্টে পড়ে থাকার কারণে প্রায় তিন ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। ফলে মহাসড়কের উভয়পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে তিন কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রতন হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী এসআর ট্রাভেলস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস উক্ত স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চালক-হেলপার ও ট্রাকের চালকসহ মোট ছয়জন নিহত হন। সেইসঙ্গে আহত হন আরও অন্তত পনেরজন যাত্রী। তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আলম বলেন, বাসটি বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করতে গেলে বিপরীতগামী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে জানান : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রাধানগর বাজারে রোববার দুপুরে মোটরসাইকেল থামিয়ে পেট্রোল নেয়ার সময় দ্রুতগামী ইটবোঝাই ট্রলির চাপায় রাজু আহমেদ (২৭) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। নিহত রাজু কাদিরপাড়া গ্রামের আমির হোসেন এর ছেলে।
জানা গেছে, বেলা ১টার দিকে রাধানগর বাজারে একটি খুচরা পেট্রোলের দোকান থেকে পেট্রোল কিনে নিজের মোটরসাইকেলে ভরছিল রাজু। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগামী একটি ৫ চাকার ট্রলি তাকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি ট্রলিটিকে আটক করে ড্রাইভার জমিরুল ইসলামকে মারপিট করে। গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।