বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীতে ইয়াবা ও গুলি দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রোববার নগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডের হেলথ অ্যান্ড ফেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুইজনকে আটকের পর তাদের দেয়া তথ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে অন্যদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- ইফতেখার করিম চৌধুরী (৪৮), সোহেল (২৬), ফয়সাল (২০), নজরুল ইসলাম (৪১) ও জামাল হোসেন (৪১)। এদের মধ্যে ফয়সালের বাসা হালিশহর বি-ব্লকে, আর অন্যদের বাসা লালখান বাজার এলাকায়।
ডিবি পুলিশের এডিসি (দক্ষিণ) শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জানান, মাথায় চুল গজানোর প্রতিষ্ঠান হেলথ অ্যান্ড ফেয়ারের মালিক মান্নান শেখকে ফাঁসাতে এই কান্ড ঘটানো হয়। শনিবার রাতে খবর আসে তার প্রতিষ্ঠানে ইয়াবা ও কার্তুজ আছে। সে তথ্যে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযানে গেলে সোর্স সোফার নিচ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা ও চার রাউন্ড কার্তুজ শনাক্ত করে দেয়। সেগুলো উদ্ধার করলেও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। কারণ ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগে ভুঁইফোড় অনলাইন পত্রিকার কথিত চার সাংবাদিক উপস্থিত ছিল, যেটি সন্দেহের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে থাকা ফয়সালের আচরণও সন্দেহজনক মনে হয়। খবর পেয়ে ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান এবং ওই কক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেন। ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বিকালে দু’জন লোক আসেন সেখানে। একজনের মাথায় চুল নেই, আরেকজনের চুল আছে। চুলবিহীন ব্যক্তি ম্যানেজারের সঙ্গে গিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত কথা বলতে থাকেন। এর ফাঁকে ফয়সাল বসে পড়েন সোফায়। তাদের কথাবার্তার এক ফাঁকে ফয়সাল সোফার নিচে ইয়াবা ও কার্তুজ রেখে দেন। ফুটেজ দেখে সাথে সাথেই ফয়সালকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানায়, ৫০০ টাকার বিনিময়ে সোহেল তাকে ইয়াবাগুলো সেখানে রাখতে দিয়েছে। তখন টাইগারপাস থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। পরে সোহেলের দেওয়া তথ্যমতে রাতভর অভিযানে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, সোহেলকে ইয়াবাগুলো দিয়েছেন নজরুল, যিনি পেশায় গাড়িচালক। নজরুল ইয়াবাগুলো পেয়েছেন ইফতেখার করিম চৌধুরীর কাছ থেকে। আর অটোরিকশা চালক জামাল তার গাড়িতে করে সোহেল ও মাথায় চুলবিহীন ওই ব্যক্তিকে দোকানটিতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এই পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন।
নজরুলের তথ্য অনুযায়ী, ইফতেখার তাকে ইয়াবা ও কার্তুজ দিয়ে ব্যবসায়ী মান্নান শেখকে ফাঁসানোর দায়িত্ব দেয়। তখন নজরুল অটোরিকশা চালক জামালের মাধ্যমে ফয়সাল ও সোহেলকে এ কাজের জন্য ভাড়া করে। তবে ইফতেখার করিম চৌধুরী কেন মান্নান শেখকে ফাঁসাতে চেয়েছেন এবং এর পেছনে কারা আছেন সেটা নিশ্চিত হতে ইফতেখারসহ তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
তবে পুরনো ব্যবসায়ীক বিরোধের জেরে আগের অংশীদার এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারনা হেলথ অ্যান্ড ফেয়ারের মালিক মান্নান শেখের।
তিনি বলেন, ঢাকার বনানীতে আমাদের একটি অংশীদারি প্রতিষ্ঠান ছিল, আমার সঙ্গে পার্টনার ছিলেন দু’জন। তারা পরে আমাকে বের করে দেন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার বিরোধ হয়। আমার ধারণা, ব্যবসায়িক বিরোধের কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।