বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে ধর্ষণের শিকার কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছেন। এই দিকে ধর্ষক পরিবারের হুমকির কারণে ওই অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বাবা বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার উত্তর পাইকপাড়া গ্রামের ওই ধর্ষিতা কিশোরীর মা মানুষিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় অনেক আগেই কিশোরী পরিবারকে ছেড়ে চলে যান। ধর্ষিতা কিশোরী বাবার সাথে উপজেলার উত্তর পাইকপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন। কিশোরীর বাবা দিনমজুর ভবঘুরে প্রকৃতির লোক হওয়ায় প্রতিবেশী চাচী রুনা বেগম ধর্ষিতাকে দেখে শুনে রাখতো।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ওই কিশোরীকে প্রায় ৬ মাস আগে একই এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে হাবিবুর (১৫) ও আফসার চৌধুরীর ছেলে সানি (১৮) পালের বাড়ি পরিত্যক্ত বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সে সময় ওই এলাকার লোকজন বিষয়টি দেখে ফেললে চর থাপ্পড় মেরে ধামাচাপা দেয়। ধর্ষিতা কিশোরী জানান, ৬ মাস আগে একদিন সন্ধ্যায় আমাদের প্রতিবেশী বাবুল মিয়ার ছেলে ফাহিম আমার চাচি রুনু বেগম আমাকে ডাকছে বলে আমাকে আমাদের বাড়ির পাশে পালের বাড়িতে নিয়ে যায়। আমি সেখানে দিয়ে দেখি, আমাদের এলাকার সামি দাড়িয়ে আছে। পরে সামি আমাকে ধরে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় আমাদের অপর প্রতিবেশী হাবিবুর আসে। সানির পরে হাবিবুরও আমায় ধর্ষণ করে। সে সময় আমার চিৎকারে এলাকার লোকজন আগাইয়া আসলে আমি তাদের জানালে, এলাকার লোকজন ওদের চর থাপ্পড় দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
ধর্ষিতা আরো জানায়, পরে আমি হাবিবুর এর মাকে এ ব্যাপারে জানাইলে সে বলে তুমি এগুলো আর কাউকে বলোনা। কাউকে বললে তোমার বাবাকে মেরে এলাকা হতে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যপারে ধর্ষিতার পিতা জানান, কিছু দিন আগে আমার মেয়ে তার নানী বাড়িতে বেড়াতে গেলে তার নানী আমার মেয়ের লক্ষণ দেখে বুঝতে পেরে ওকে জিজ্ঞেসবাদ করলে ও ওর নানীকে সব খুলে বলে। পরে আমি ২০ দিন আগে ওকে মেডিকেল চেকআপ করলে ডাক্তার জানায় ওর পেটে ৬ মাসের বাচ্চা আছে। আমি মেয়েকে ১৮/২০ দিন আগে টঙ্গিবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে এক নার্সের অধীনে রেখে এসেছি। সে আরো জানায়, ধর্ষক হাবিবুর এর পিতা হাসান আমাকে হুমকি দিচ্ছে। হাসান বলে সানির মামারা অস্ত্র ব্যবসা করে তুমি এটা নিয়ে বেশি বাড়বাড়ি করলে তোমার ভালো হবেনা। তুমি এলাকা হতে চলে যাও । আমি ভয়ে বিভিন্ন যায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
ওই এলাকার সোহাগ, অয়ন, শুভ , শাহিন, রয়েল, কামরুল, লিমনসহ কতিপয় যুবক জানান, আমাদের এলাকার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে গরীব বলে দীর্ঘদিন যাবত বিচার পাচ্ছেনা। আমরা বিষয়টি এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, ও আমাদের মসজিদের সভাপতি মঞ্জুর মিয়াসহ স্থানীয় লোকজনকে জানাইছি। তারা গত শুক্রবারের মধ্যে এর মীমাংসা করে দিবে বলে আমাদের আশ্বাস দিয়ে পরে সানির মামা মঞ্জিল বলছে ডিএনএ টেস্ট করে নিয়ে এসো । আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আবদুল্লাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহিম জানান, আমার কাছে কয়েকজন যুবক আসছিলো। আমি ওদের আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, একটি অভিযোগ দায়ের করতে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।