Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধৈর্যশীলদের সাথে আল্লাহ আছেন : পীরে কামেল ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ আহমদী

চট্টগ্রামে মুনিরীয়া যুব তবলীগের কনফারেন্স

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:২০ পিএম | আপডেট : ৮:২০ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

কাগতিয়ার পীর অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ আহমদী বলেছেন, যুগে যুগে ইসলামের ইতিহাসে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর পথে মতে যারা নিজেদের নিয়োজিত করেছেন সকলকেই কঠিন পরীক্ষা ও মুসিবতের মাধ্যমে জীবন কাটাতে হয়েছে। কিন্তু সুখের বিষয় হলো এ পথের কঠিন বাস্তবতায় আল্লাহর দয়া সর্বক্ষণে ছিলো।

ধৈর্য ধারণকারীর সাথে স্বয়ং আল্লাহ সাথী হয়ে থাকেন। তিনি বলেন, তীব্র কষ্টে ধৈর্যধারনের মধ্য দিয়ে পাড়ি দিতে হয় জীবনের বেশিরভাগ সময় এমন দুঃখ কষ্টের ভিতরে লুকিয়ে থাকে জান্নাতের হাতছানি। গতকাল শুক্রবার নগরীর বায়েজিদে মুনিরীয়া তবলীগের ঐতিহাসিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ নূর খাঁন, প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ শাহেদ ইকবাল বাবু, কাউন্সিলর মুহাম্মদ মোবারক আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আবু বকর, মাওলানা মুহাম্মদ রকিব উদ্দিন, মুহাম্মদ সালাউদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নূরী প্রমূখ।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড: জালাল আহমদ, মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি মুহাম্মত সালাহ উদ্দীন।

কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর শ^শুরের ইন্তেকালে এই মাহফিলে গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, যুব সমাজ হচ্ছে একটি দেশের প্রাণশক্তি। সেই যুব সমাজকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) দেখানো পথে এবং মতে পরিচালিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রেখে চলেছেন কাগতিয়া দরবার।

কনফারেন্সে দিতে সকাল থেকেই চট্টগ্রামের আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, সীতাকুন্ড, বোয়ালখালী, আনোয়ারা পটিয়া ছাড়াও রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, মহেশখালী থেকে গাড়িযোগে কাগতিয়ার অসংখ্য অনুসারী, ভক্ত ও সাধারণ সুমল্লি আসতে থাকে। মাগরিবের আগেই বিশাল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্রগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ