Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যালয় ভবনে ফাটল তবুও ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে

উত্তরাঞ্চলের পরানো ও ঐতিহ্যবাহী সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন। যে কোন সময় এটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ভবনটি দীর্ঘদিনেও মেরামত ও সংস্কার না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯০৬ সালে। প্রথমে এর নাম ছিল সৈয়দপুর হাইস্কুল পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। ব্রিটিশ শাসনামলে স্থাপিত এ বিদ্যালয়টির রয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক অবদান। ১৯৫২ সালে এ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাষা আন্দোলনে যোগ দেয়। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসক আইয়ুুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয় এখানকার সে সময়কার শিক্ষার্থীরা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়ে এই বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র শহীদ হন। ১৯৬৩ সালে এ বিদ্যালয়টির মঞ্জুরী চালু হয়। সে সময় শত ভাগ ফলাফল অর্জন করে এ প্রতিষ্ঠানটি মেধার স্বাক্ষর রাখে শিক্ষা বোর্ডে। তখনও এ বিদ্যালয়ের পাঠদান চলতো দুই শিফটে। প্রতিষ্ঠানের গায়ে লেগে আছে স্বাধীনতার ইতিহাস। সেই প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজও এ বিদ্যালয়টি লেখাপড়ায় মানের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে। স্কুলটি পরিচালনার জন্য ছাত্রছাত্রীদের বেতন ছাড়াও বেশকিছু পাকা দোকানপাট রয়েছে। এগুলোর আয় দিয়ে স্কুলের উন্নয়ন করা সম্ভব হলেও অপ্সাত কারণে তা করা হয়নি। স্কুলটি সরকারি করণে বহুবার কথা শোনা গেলেও আজও তা হয়নি। প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের একটা নিয়মাবলীর মধ্যে রেখে চালাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। যার ফলে প্রতি বছর এসএসসিসহ অন্যান্য পরীক্ষাগুলোতেও অত্যন্ত চমকপ্রদ ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়ে থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে ২২ জন। কর্মচারী ৯ জন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৭০ জন। এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়টি ১১০ বছর বয়সেও মাথা উঁচু করে কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে এ বিদ্যালয়টিতে দেখা দিয়েছে ফাটল। যে কোন সময়ে এটি ধসে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীসহ সবার মাঝে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে সবসময়। না জানি কখন কি হয়। নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ শওকত চৌধুরীসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যালয় ভবনে ফাটল তবুও ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ