বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালে পুনরায় জাতীয় পতাকাবাহী বিমান ফ্লাইট পুনর্বহাল না করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহŸায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি। পাশাপাশি এ সিদ্ধান্তে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন সাবেক বিমানমন্ত্রী এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। গতকাল দক্ষিণাঞ্চলের এ দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইনকিলাবের কাছে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেও অভিমত প্রকাশ করেছেন।
বরিশাল-১ আসনের এমপি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ইনকিলাবকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই অনেক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ২০১৫ সালের এপ্রিলে বরিশালে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান ফ্লাইট চালু করা হয়েছিল। কিন্তু নানা খোড়া যুক্তিতে তা আবার বন্ধ করার এ সিদ্ধান্ত মানুষের কাছে সরকার সম্পর্কে ভুল বার্তা দেবে জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট মহলে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিমান কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়কে এ ধরনের যেকোন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে তা আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষারও আহবান জানিয়েছেন।
অপরদিকে সাবেক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বরিশালে বিমানের ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্তে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বিমান বন্দরের সাথে রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন চালু রাখা উচিত। পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের জন্যও তা জরুরি। তিনি বলেন, বিমান কোন যুক্তিতে বরিশালে ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানি না। তবে এক্ষেত্রে লোকসানের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। বেসরকারি এয়ারলাইন্স নিশ্চয়ই লোকসান দিয়ে বছরের পর বছর বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা করছে না। যেখানে বেসরকারি এয়ারলাইন্স সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে, সেখানে বিমান ৫টি ফ্লাইটও দিতে পারছে না কেন?
বিষয়টি নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানান, বরিশাল ও রাজশাহীতে বিমানের ফ্লাইট বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এ দুটি সেক্টরে রাজস্ব আয় কিছুটা কম থাকায় এখানে পুনরায় ফ্লাইট চালুর বিষয়টি নিয়ে আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বরিশালকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করে বিমানমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম এ বিমান বন্দর। বরিশালে বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি বিমান যাতে ফ্লাইট পরিচালনা করে সে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানিয়েছেন। বরিশাল বিমান বন্দরের রানওয়ে ও টার্মিনাল ভবন সম্প্রসারণের লক্ষে প্রকল্প গ্রহণের কথাও জানান মন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।