বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চতুর্থ দফায় অনুষ্ঠিত শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে মেয়র পদের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার।
১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে শহরের জেলা কারাগার মোড়স্থ নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, মেয়র পদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোর করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটারদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নৌকায় ভোট আদায় করাসহ নানাভাবে জগের বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সেইসাথে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের ব্যর্থতারও অভিযোগ করেন।
তদুপরি তিনি তার শতশত কর্মী-সমর্থকসহ আপামর ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার দাবি, নিজ এলাকা দমদমা ও মোবারকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শতভাগ সুষ্ঠু হলেও ৩টি কেন্দ্রে শতভাগ অনিয়ম এবং ২০টি কেন্দ্রে ৭০-৮০ ভাগ অনিয়ম হয়েছে। আর নিজের ওয়ার্ড ও আত্মীয় এলাকা হওয়া সত্বেও মীরগঞ্জে আমার ভোট দেখানো হয়েছে শূন্য- যা অবিশ্বাস্য। তার অভিযোগ, কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারসহ দায়িত্বশীলদের জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং তারা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে ভোটগ্রহণ তথা উদ্ভুত অবস্থা নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছেন। তার অভিযোগ, নির্বাচনের পরও তার কর্মী-সমর্থকদের নানানভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এজন্য তিনি সুষ্ঠু-স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল মহলের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনেরও সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।