Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৪ এএম

মাঘ মাসের শীতে পুরো দেশ কাঁপলেও পর্যটকদের ঢল নেমেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। করোনার চাপ কমে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় লাখো পর্যটকের আগমন ঘটেছে কক্সবাজারে। এতে বেড়াতে আসা পর্যটকের পাশাপাশি সন্তোষ্ট করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্থ পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা। এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিতে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, করোনার চাপে গতবছর শীত মৌসুমে পর্যটন শূন্য থাকলে এবার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। বেড়াতে আসা পর্যটকরা শীতকে উপেক্ষা করে সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছাসে মেতেছে।

পর্যটকদের ভিড় জমেছে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধ্যা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট, হিমছড়ি, দরিয়া নগর, পাটুয়ার টেক, ইনানী, সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া, আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্ধবিহার সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে। বেড়াতে আসা পর্যটকরা বলছেন করোনার চাপ আর নগর জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি নিয়ে ভ্রমণে এসে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতেছে।

বাপ্পী চৌধুরী নামে এক পর্যটক জানান, করোনার কারণে প্রায় দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্ধী থাকতে থাকতে জীবনটা অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলাম। অবশেষে কক্সবাজার বেড়াতে আসতে পেরে খুবই খুশি লাগছে। ঠান্ডার মধ্যেও সাগরে গোসল করতে পেরে তার খুবই আনন্দ লাগছে।

সাইমা সোলতানা নামে আরেক পর্যটক জানান, অনেক দিন পর পরিবার নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তৃতীয় বারের মত বেড়াতে এসেছেন। তার অনেক ভাল লাগছে। যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেননা।

রবিন হায়দার নামে আরেক পর্যটক জানান, তিনি এক পর্যটন এলাকার বাসিন্দা হলেও কক্সবাজারের মজা তার কাছে অন্যরকম। তাই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পরিবার নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন।পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে ৩টি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষিত লাইফ গার্ড সহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনী। পর্যটন সেবায় নেয়া হয়েছে বহুমুখি পদক্ষেপ।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানান, কক্সবাজার পর্যটন স্পটগুলোতে সার্বক্ষনিক ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতে নিরলস কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টা ফুট পেট্রোল, বীচ বাইক পেট্রোল, মোটর বাইক পেট্রোলের টহল জোরদার রয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি উদ্ধার টিক সবসময় মাঠে রয়েছে। যারা বিপদে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়া কোন পর্যটক যদি আইনানুগ সহযোগিতা চায় তাকে আইনানুগ সহযোগিতা প্রদান করা হয়।

এসব ছাড়াও করোনাকালে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে। কক্সবাজারে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজে প্রায় ৪ লাখ পর্যটক ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ সকলের প্রচেষ্টায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে নিরাপদ ভ্রমন শেষে যেন তারা বাড়ি ফিরতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটকের-ঢল

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ