বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মদ্যপ অবস্থায় রিকশা ভাড়া না দিয়ে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় উত্তেজনাবশত পরিবহন হেলপার মো. সাব্বিরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হাসান শেখ নামের এক রিকশা চালক। গুরুতর জখম অবস্থায় পরিবহন হেলপার সাব্বিরকে গাড়ির ভেতর রেখে পালিয়ে যায় হাসান শেখ। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাব্বির মারা যায়। গতকাল শনিবার খুলনা মহানগর হাকিম সরোয়ার আহমেদ’র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন হাসান শেখ। জবানবন্দীর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এস আই সুশান্ত দাস জানান, গত শুক্রবার ভোর রাতে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সোহাগ পরিবহনের হেলপার মো. সাব্বিরকে বাসের ভেতরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার মাথা, ঘাড়, হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাতেই হাসান শেখকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শিববাড়ি মোড়ে সোহাগ পরিবহনের গাড়ি রেখে নগরীর বার্মাশিল এলাকায় মদ খেতে যায় সাব্বির। পরে একই রিকশায় গাড়ির কাছে ফিরে এসে ভাড়া না দিয়ে রিকসা চালককে গালাগাল শুরু করে সে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ্য করতে না পারে হেলপারের সঙ্গে রিকসা চালকের হাতাহাতি বেঁধে যায়। একপর্যায়ে রিকসা সিটের নিচ থেকে ছুরি এনে হেলপারকে কুপিয়ে বাসের মধ্যে ফেলে রেখে যায় হাসান শেখ। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাব্বির মারা যায়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, নিহত সাব্বির হত্যাকান্ডের আগে রিকসা চালক হাসানকে নিয়ে মদ সেবন করে। পরে ভাড়া দেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে হাসান উত্তেজিত হয়ে পড়লে তার রিকশার সীটের নিচে রাখা ছুরি দিয়ে সাব্বিরকে এলোপাতাড়িভাবে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে সকালে খবর পেয়ে পুলিশ নিহত সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ঘটনা স্থলে আলামত উদ্ধারের সময় পুলিশ হাসানকে এলোমেলোভাবে ঘুড়াঘুড়ি করতে দেখে সন্দেহজনকভাবে আটক করে। পরে হাসান নিজেই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে মর্মে স্বীকারোক্তি দেয়। তার দেখানো মতে মামলার সকল আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি হাসান হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি খুঁজতে এসেছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, কেডিএ এভিনিউস্থ হোটেল টাইগার গার্ডেনের বিপরীতে পার্কিং করা সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭১৫৩) গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর যেকোন সময়ে হেলপার সাব্বির শেখ (১৭) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা, ডান হাতের উপরের অংশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করা হয়।
এঘটনায় ভিকটিমের পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-১৯। নিহত সাব্বির বাগেরহাট জেলার বাখরগঞ্জ বাজারের ধুমকালিপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের পুত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।