Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

২০০ বছর পর দাফন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৫ এএম

১৮১২ সালে নেপোলিয়ানের ব্যর্থ মস্কো অভিযানের বিপর্যয়ে নিহত ফরাসি ও রুশ সৈন্যদের দেহাবশেষ শনিবার পুনরায় সমাধিস্থ করার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ঐক্যের এক বিরল মুহূর্ত সৃষ্টি হল। এদিন রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় স্মোলেনস্ক নগরীতে ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযানে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিহতদের ১২৬ জনের দেহাবশেষ পুনরায় সমাধিস্ত করা হয়েছে। সামরিক নেতাদের মৃত্যুতে ফ্রান্সের দ্বিবার্ষিক স্মরণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এ বছর প্রায় ২০০ বছর আগে নিহত সৈন্যদের দেহাবশেষ পুনরায় সমাধিস্ত করা হয়।
মস্কোর ২০০ কিলোমিটারের বেশি পশ্চিমে ভিয়েজমা শহরে সমাধিস্থলে নিহতদের বংশধর এবং কয়েক ডজন রি-এনক্টর যোগ দেন। রি-এনক্টরা যুদ্ধকালীন সময়ের আবহ তুলে ধরেন।

উভয় দেশের প্রত্মতাত্তি¡করা ২০১৯ সালে এক গণকবরে ১২০ সৈন্য, ৩ নারী ও ৩ টিনেজারের দেহাবশেষ আবিস্কার করেন। এ খননে নেতৃত্ব দেন ক্রেমলিনের সঙ্গে যুক্ত ফাউন্ডেশন ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব রাশিয়ান-ফ্রেন্স ঐতিহাসিক উদ্যোগের প্রধান পিয়েরে ম্যালিনোভস্কি।

ধারণা করা হচ্ছে, তিন নারী “ভিভেনডিয়ের্স” বা ফরাসি বাহিনীর অভিযানের সঙ্গে যুক্ত, তারা সৈনিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতেন এবং ক্যান্টিনে দায়িত্ব পালন করতেন এবং তিন কিশোর বাদকদলের সদস্য ছিলেন। ধারণা করা হয়, বেরেজিনা নদী অতিক্রমের ভয়ংকর পরিস্থিতির আগে মস্কো থেকে নেপোলিয়নের বাহিনী প্রত্যাহারের শুরুতে ৩ নভেম্বর (১৮১২) ভিয়েজমা যুদ্ধে তাদের মৃত্যু হয়।

রাশিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান কঠোর অভিযান এবং রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে চড়া উত্তেজনার মধ্যে গান-স্যালুটের মাধ্যমে যুদ্ধে নিহতদের স্মরণ ও সমাধিস্ত করার এই অনুষ্ঠান ঐক্যের এক বিরল মুহ‚র্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

পিয়েরে ম্যালিনোভস্কি এএফপিকে বলেন, যুদ্ধে অংশ নেয়া ফ্রান্স ও রাশিয়া দুই পক্ষের সমর নেতাদের বংশধররা এখানে একত্রিত হয়েছেন, এই পুনর্মিলনে তারা ২০০ বছরের বেশী সময় আগে নিহতদের স্মরণ করেছেন। নেপোলিয়নের অভিযান প্রতিহতকারী জাতীয় বীর হিসেবে বিবেচিত রাশিয়ান ফিল্ড মার্শাল মিখাইল কুতুজভের বংশধর ইউলিয়া খিতরোভো বলেছেন, মৃত্যু তাদের সমতা তৈরি করেছে : তারা এখন সবাই এক কবরে’। নেপোলিয়নের অন্যতম এক সেনাপতির বংশধর প্রিন্স জোয়াসিম মুরাত বলেছেন, একদা যুদ্ধের পক্ষগুলোর মধ্যে এই অনুষ্ঠান “পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রতীক” হয়ে থাকবে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।



 

Show all comments
  • রোমান ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:২৯ এএম says : 0
    ভালো কাজ করেছেন তারা
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:৪৭ এএম says : 0
    ভালো উদ্যোগ...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ