রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্য ও এক কৃষক বাদী হয়ে নীলফামারী জেলা জজ আদালতে পৃথকভাবে এ মামলা দুটি দায়ের করেন। আদালত মামলা দুটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ে প্রেরণ করেছেন। মামলার বিবাদীরা হলো- সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন ও ওই ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ললিত চন্দ্র রায় ও আবুল কালাম আজাদ। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের জেলা জজ আদালতে দায়ের করা মামলার সূত্র মতে, ২০১৫ সালে ওই ইউনিয়নে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় হতে সিডিএমপি এনপিএল প্রকল্পের অধীনে রাস্তা ও বাঁধ তিস্তা নদীর পশ্চিম তীরে দুই হাজার মিটার মাটির বাঁধ নির্মাণের জন্য ৩৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮শ’ ৬৪ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বিধি অনুযায়ী কোন ইউপি সদস্যকে চেয়ারম্যান প্রকল্প কমিটিতে রাখেননি। তিনি ভুয়া কমিটি তৈরি করে একশ’ দিনের কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে নামে মাত্র ৪৫০ মিটার রাস্তার কাজ করেন। এ কাজে তিনি জালিয়াতির মাধ্যমেই সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। অপরদিকে চেয়ারম্যান ও ওই দুই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার যোগ সাজশে কৃষকের ভুয়া তালিকা তৈরি করে নিজেরাই সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ও গম বিক্রি করেন বলে আদালতে অপর একটি মামলা দায়ের করেন একই ইউনিয়নের এক কৃষক। মামলার সূত্র মতে, চেয়ারম্যান প্রকৃত কৃষকদের ধান ও গম বিক্রয়ের তালিকার নাম না দিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো তালিকা তৈরি করেন। চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারের কাছে জমা দেয়া ধান ও গম বিক্রির তালিকায় যেসব ব্যক্তির নাম দেয়া হয়েছে তারা কোন প্রকার চাষাবাদের সাথে জড়িত নয়। এ অবস্থায় প্রকৃত কৃষকেরা তাদের জন্য সরকারের দেয়া সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়েছেন। এসব বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।