Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বান্ধবী নেহা কারাগারে

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলায় ভুক্তভোগী তরুণীর বান্ধবী নেহাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

গতকাল আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার পুলিশের এএসআই ফারুক হোসেন জানান, গত বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালীন নেহাকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ডের মঞ্জুর করেন। এরও আগে ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নেহা ওই তরুণীর ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্র জানায়, ২৮ জানুয়ারি মদ্যপানের পর থেকে নেহাও অসুস্থ ছিল। তবে গ্রেফতারের সময় সে মোটামুটি সুস্থ ছিল। সেদিন তারা যে মদ পান করেন তা নেহার ছেলে বন্ধু কিনে এনেছিল। নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, পাশাপাশি তার বন্ধুর পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে খুঁজতেও অভিযান চলছে।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর একটি পার্টিতে মদপানের পর রহস্যজনক মৃত্যু হয় ওই শিক্ষার্থীর। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন নিহত তরুণীর বাবা। মামলার এজাহারে ওই তরুণীকে মদপান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার কথা বলা হয়েছে। এতে সহযোগী হিসেবে চার জনের নাম উল্লেখসহ মোট পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ওই তরুণীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী। মামলায় যাকে ধর্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য চার সহযোগীর মধ্যে তিন জন হলেন- নুহাত আলম তাফসির, আরাফাত ও নেহা। আরেক জনের নাম জানা যায়নি। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাঁচ আসামির মধ্যে আরাফাত মারা গেছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান উবারে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী (তরুণ) উপস্থিত ছিল। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করায়।

এজাহারে বলা হয়েছে, মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। তাদের চোখের সামনেই ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খান কোকোকে ফোন দেয়। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৩১ জানুয়ারি তরুণী মারা যান।



 

Show all comments
  • বান্নাহ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:৩৪ এএম says : 0
    ঘটনা সত্য হলে এদের সবার ফাঁসি চাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ