বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গতকাল বুধবার ব্যাপক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা। মাছ ও মিষ্টির জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠা এই মেলায় লাখ লাখ মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল। মেলায় রানীরপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী ধলু ও সুক্তো সাকিদার যমুনা নদীর ৬৬ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ মেলায় নিয়ে এসেছেন। এই বাঘাইড়টি কেটে বিক্রি করছেন ১২শ’ টাকা কেজি দরে। আর ৫০/৬০ কেজি ওজনের জীবিত বাঘাইড় মাছ কেটে বিক্রি হচ্ছে ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা কেজি দরে। ক্রেতা কাদের বক্স ইসলাম বলেন, এবার মেলায় মাছের দাম স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। মেলায় আসা (জামাই) খোকা মিয়া একটি বড় রুই মাছ ক্রয় করেছেন।
তিনি জানান, পছন্দের মাছ হওয়ায় দামটা একটু বেশি-ই নিয়েছে। এছাড়াও মেলায় ১৬ কেজি ওজনের বোয়াল মাছের দাম হাঁকানো হয়েছে প্রতি কেজি ১৩শ’ টাকা, ১৫ থেকে ১৮ কেজি ওজনের কাতলা মাছ ১২শ’ টাকা কেজি, ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের কাতলা মাছ ৮শ’ টাকা ১০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, মেলার জন্য ১০ কেজি ওজনের মাছ আকৃতির মিষ্টি তৈরি করেছেন বিশিষ্ট মিষ্টি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ। মহিষাবান এলাকার ব্যবসায়ী লতিফের দোকানে এ মিষ্টির দাম হাকানো হয়েছে ৩২’শ টাকা। এছাড়া ১ কেজি, ২ কেজি, ৩ কেজি, ৪ কেজি ওজনের মিষ্টিও মেলায় পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দামে। লতিফের মিষ্টির দোকানে দুই শত মনের বেশি মিষ্টি রয়েছে-যা তিনি মেলার দিনেই বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন। ধোঁরা গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ী বাদশা এবারের পোড়াদহ মেলায় মোট ৮০ মণ মিষ্টি বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। প্রতিটি দোকানে শত শত মন মিষ্টি বেচা-কেনা হয়েছে। মেলায় মাছ, মিষ্টি, গরুর মাংস, মহিষের মাংস, বড়ই (কুল), কাঠ ও স্টিলের ফার্নিচার, কসমেটিক, কৃষিসামগ্রীসহ বিভিন্ন দ্রব্য হাট-বাজারের মতোই ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে চোখে পড়ার মতো।
প্রতিবছর বাংলা সনের মাঘ মাসের শেষ অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার মেলাটি হয়। মেলা উপলক্ষে পার্শ¦বর্তী উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় মেলা প্রাঙ্গণ। এ ব্যাপারে মেলার পরিচালক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। মেলায় মেয়ে-জামাই, আত্মীয় স্বজনসহ লাখো মানুষের পদচারণা মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। মেলায় শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক নাগোরদোলা, চরকি এবং মটরসাইকেল খেলা ছিল। গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রওনক জাহান জানান, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় মেলাটি অত্যান্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে প্রতিবছরের মতো আজ গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের রানীরপাড়া এবং মহিষাবান পশ্চিমপাড়া গ্রামে (ত্রি-মোহনী) অনুষ্ঠিত হবে বউমেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।