বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অপহৃত সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামাল ওরফে মিলনকে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অভয়নগর থেকে উদ্ধার করেছে। গতকাল দুপুরে নিজ দপ্তরে প্রেস বিফ্রিংয়ে এই তথ্য জানান পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন।
পিবিআই এর তথ্যানুযায়ী, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত¡বধান ও দিক নিদের্শনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এর নেতৃত্তে¡ এসআই স্নেহাশিস দাশ ও এসআই গোলাম আলীসহ মঙ্গলবার অভিযুক্ত ৩জনকে আটক কবরে অভয়নগর থেকে অপহৃত আইনজীবীকে উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই এসপি রেশমা শারমিন জানান, আইনজীবী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মিলনের সঙ্গে সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাবনগর গ্রামের এসএম হারুনুর রশিদের মেয়ে রাবেয়া সুলতানা রিতুর বিয়ে ঠিক হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মিলনকে ডেকে নেয় রিতু। মিলন ও রিতু খুলনা জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পার্কে ঘুরতে যায়। সেখানে তাদের সাথে অভিযুক্ত রিতুর বান্ধবী সুরাইয়ার সাথে দেখা হয়। সুরাইয়া চা পানের কথা বলে মিলন ও রিতুকে যশোরের অভয়নগর থানার একাতারপুর গ্রামের বাসায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কৌশলে ভিকটিমকে বাসায় রেখে তার বাগদত্তা রাবেয়া সুলতানা রিতুকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। অপহরণের দিন সন্ধ্যায় প্রথমে মিলন তার বন্ধু হাফিজুকে ফোন করে বিপদে আছে ও তার টাকা প্রয়োজন বললে হাফিজ তাকে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আবু হেনা মোস্তফা কামাল ওরফে মিলনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে পর্যায়ক্রমে তার পিতা এবং দুলাভাইয়ের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে ত্রিশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তাকে মারপিট করে কান্নাকাটির আওয়াজ শোনায়। মুক্তিপণ না দিলে মিলনকে হত্যা করবে বলে জানায়। ৮ ফেব্রুয়ারি মিলনের নিখোঁজ সংক্রান্ত বিষয়ে তার পিতা সাতক্ষীরার তালা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অভয়নগর থানায় মামলা করেন মিলনের দুলাভাই শরিফুল ইসলাম। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। খুলনার দৌলতপুর মাছবাজার ঘাট এলাকা থেকে আসামি শাহীন শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রাম থেকে আবদুস সালাম (২৪) ও সুরাইয়া (২০) কে গ্রেফতার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।