বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর একাধিক হোটেল, রিসোর্ট ও আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ডিজে পার্টির নামে বিশাল নের্টওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল ফারজানা জামান ওরফে ডিজে নেহা। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের মালিক, মাদক ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয় ডিজে নেহার নেতৃত্বে। কথিপয় দুনীতিবাজ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চলতো ওই চক্র। পুলিশি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ডিজে নেহা। ওই ছাত্রীকে অতিরিক্ত মদ খাইয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে গত শুত্রকার। ডিজে নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এমন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপির তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন উর রশীদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অতিরিক্ত মদ খাইয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ডিজে সেহাসহ তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানোর হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই চক্রের নেটওয়ার্ক বেশ বড়। এদের সাথে জড়িতদের বা যারা সম্পৃক্ত ছিলেন সবার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাছাড়া ডিজে নেহাসহ রিমান্ডের আসামীরা যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানতে পেরেছেন, ফারজানা জামান ওরফে ডিজে নেহার প্রতিটি পার্টিতেই নতুন নতুন মুখ থাকত। তাদের অধিকাংশ ছিল বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ধনী ব্যক্তিদের পকেট কাটতে এসব তরুণীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করতেন ডিজে নেহা। এ ক্ষেত্রে তার হয়ে তরুণ-তরুণীদের একটি চক্রও কাজ করত। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েক বছর আগে লন্ডন প্রবাসী এক ব্যক্তির সাথে নেহার বিয়ে হয়। ওই প্রবাসী তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নেহা স্বামীর সাথে লন্ডনে না গিয়ে বিপদগামী হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে ত্যাগ করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় মর্তুজা রায়হান নিহত ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী এবং রায়হান একসঙ্গে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান। মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। তখন রায়হানের বন্ধুরাও কক্ষে ছিলেন। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মৃত্যু হয় তরুণীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।