বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জয়পুরহাট জেলায় বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। তবে দিনমজুর বা শ্রমিক সঙ্কটে বোরো রোপন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষক। এ জেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগ লোক কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ অঞ্চলে সাধারণত বছরে একবার বোরো চাষ হয়ে থাকে। জেলায় আমন ধানের চাষাবাদ হলেও এখানকার কৃষকরা অনেকটাই বোরো ধানের ওপর নির্ভরশীল। ইতোমধ্যে জেলায় প্রায় ২০ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় সাথী ফসল আলু তুলে কৃষকরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা কাশিয়াবাড়ী গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান, হিচমী গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন, হেলকুন্ডা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ মামুন হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে বোরো ধান রোপন শুরু করেছি। তবে, কৃষি কাজে দিনমজুর পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন এনজিও বা সমিতি থেকে লোন নিয়ে অনেকেই রিকশা ভ্যান ইজিবাইকসহ বিকল্প পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। ফলে কৃষি শ্রমিক বা দিনমজুরের সংখ্যা কমে গেছে। এতে কৃষি কাজে দিনমজুরের ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আমরা দেশের উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, চিলাহাটি, ডোমারসহ ওই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে দিনমজুর নিয়ে এসে কৃষি কাজে ব্যবহার করছি। এতে তাদের পারিশ্রমিকও বেশি দিতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে।
কালাই উপজেলার কৃষক আতাউর রহমান, পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা গ্রামের কৃষক পলাশ হোসেন ও ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান, আমরা বোরো রোপন শুরু করেছি। তবে, পর্যাপ্ত দিনমজুর বা শ্রমিক সঙ্কটের কারণে চিন্তায় পড়েছি। এবার বোরো চাষ কিছুটা বিলম্ব হবে তারপরও চেষ্টা করছি বিভিন্ন জায়গায় থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে বোরো রোপন শেষ করতে।
জানা যায়, জেলায় এবার ৭৯ হজার ৪শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কালাই উপজেলা ২ হাজার ৫শ’ ৮৫ হেক্টর, আক্কেলপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ১ হাজার ৫শ’ ১৫ হেক্টর, পাঁচবিবি উপজেলায় ১ হাজার ২শ’ হেক্টর এবং জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ১০ হাজার ৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ২০ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। জেলায় এবার ব্রি-ধান ২৮, ধানীগোল্ড, চিনি আতব, জিরাশাল, বাসমতিসহ প্রভৃতি জাতের ধান আবাদ করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক স ম মেফতাহুল বারি জানান, বর্তমান বোরো মৌসুমে কৃষকদের সার ও বীজ কীটনাশক নিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে আমরা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব। তিনি আরো জানান, কৃষি বিভাগের মনিটরিং এর পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা সব রকম সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।