পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহের পথ থেকে বেরিয়ে আসছে ঢাকা ওয়াসা। এবার আন্ডারগ্রাউন্ড বা গভীর নলকূপের পানির বদলে নগরবাসীকে সারফেজ ওয়াটার ভূ-উপরিস্থ পানি সরবরাহ কার্যক্রম চালু করেছে। ৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা এনভায়রোমেন্টারি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প নামে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের গন্ধর্বপুরে এ প্রকল্পটি মেঘনা নদীর বিশনন্দী এলাকা থেকে পানি নিয়ে তা পরিশোধন করা হবে। পরিশোধিত পানি পাইপলাইনের মাধ্যমে রাজধানীর বারিধারা ড্রিসটিবিউশন নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে। রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারী দেড় কোটিরও বেশি মানুষকে পানি সরবরাহ করে আসছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নতুন পাঁচটি প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছে ঢাকা ওয়াসা।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ওয়াসা) তাকসিম এ খান ইনকিলাবকে বলেন, সরকার আমাদের অনেক সামনের দিকে দেখছে। আমরা ২০৪১ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের যে পানি ব্যবস্থাপনা তা এর মধ্যে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের পাঁচটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। তারমধ্যে একটি রুপগঞ্জের গন্ধর্বপুর ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং এটি ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আমাদের যে মূল লক্ষ্য, ঢাকা শহরের পানি ব্যবস্থাপনায় সারফেজ ওয়াটারের আধিক্য নিয়ে আসা ও পরিবেশবান্ধব করাই একটি অংশ। গন্ধর্বপুর ও সায়েদাবাদ ফেজ ৩ সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। ৭০ শতাংশ সারফেজ ওয়াটার এবং ৩০ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার। যেটি হবে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী। তাকসিম এ খান বলেন, পানির চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারছি। আমরা এখনি ২৬৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছি। সারফেজ ওয়াটার ৩৪ শতাংশ। ৬৬ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার। এটা বিপরীত হবে।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওয়াসা ৩৪ শতাংশ ভ‚-উপরিস্থ ও ৬৬ শতাংশ গভীর নলকূলের মাধ্যমে মোট ২৬৫ কোটি লিটার পানি প্রতিদিন সরবরাহ করছে ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসা চায়, ৭০ শতাংশ ভ‚-উপরিস্থ ও ৩০ শতাংশ গভীর নলক‚পের মাধ্যমে সরবরাহ করতে। তার অংশ হিসেবে ২০১২ সালে করা মাস্টারপ্ল্যানের ওপর ভিত্তি করে মেঘনা নদীর পানি পরিশোধন করে ঢাকায় নিয়ে আসতে কাজ করছে ওয়াসা। এ প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের শুরুতে ঢাকাবাসীর জন্য পানযোগ্য হতে চলেছে মেঘনা নদীর পানি।
ঢাকা এনভায়রোমেন্টারি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প নামে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের গন্ধর্বপুরে এ প্রকল্পটি মেঘনা নদীর বিশনন্দী এলাকা থেকে পানি নিয়ে তা পরিশোধন করা হবে। পরিশোধিত পানি পাইপলাইনের মাধ্যমে রাজধানীর বারিধারা ড্রিসটিবিউশন নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে। এরপর তা সরবরাহ হবে- নগরির উত্তরা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, মিরপুরসহ আশপাশের এলাকায়। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এখান থেকে প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। প্রকল্পের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রকল্পকাজের অবকাঠামো এরইমধ্যে তৈরি হয়েয়ে। করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন কর্মীরা। কারোনা পরিস্থিতির কারণে কাজে কিছুটা ধীরগতি ছিল। তারপরও ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
গত শনিবার প্রকল্পস্থল পরিদর্শনে করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রী বলেন, উচ্চবিত্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষ এবং কম আয়ের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কেন একই মূল্য পরিশোধ করবে। সব এলাকায় সমান মূল্য নির্ধারিত হওয়ায় এক ধরনের বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এজন্য উচ্চবিত্ত এলাকার মানুষের রাজস্বের হার এবং ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য বর্ধিত হওয়া উচিত। একই ধরনের রাজস্ব এবং হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ যৌক্তিক নয়। মন্ত্রী বলেন, সমস্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া প্রকল্পের ব্যয় না বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্পে অযথা কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে সময় ঠিক করে দেয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাঁচ-ছয় বছর আগে নেয়া প্রকল্প এখন শুরু করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্পের খরচ বেড়ে যায়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে সারাদেশে টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় যে পানির সমস্যা ছিল তা এখন সমাধান হয়েছে। পানির আর কোন সমস্যা থাকবে না। পানির স্তর নিচে নামার কারণে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশও সার্ফেস ওয়াটারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গন্ধর্বপুর পানি শোধানাগার থেকে রাজধানীতে পানি নিতে প্রকল্প এবং ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের কাজ একই সাথে চলছে। কাজ শেষ হলেই পানি সরবরাহ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।