Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সান্তাহারে রেলের কোটি টাকার সম্পত্তি লুট

গড়ে তোলা হচ্ছে ভবন

মো. মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

সান্তাহারে রেল বিভাগের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হরিলুট হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি রেলের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। রেলের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা বিষয়টি জানার পরও এতে বাধা না দিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রেলের লোকজন বলছে রেল পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে থামছে না দখল।
জানা যায়, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃৃহৎ সান্তাহার জংশনে লেভেল ক্রসিং (রেলগেট), স্টেশন এলাকা ও এর আশপাশে রেল বিভাগের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শত শত একর জমি হরিলুট হয়ে যাচ্ছে। এসব জমিগুলো রেল বিভাগের স্থানীয় বা বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দেখভালের অভাবে রেলের ওই কোটি কোটি টাকা মূল্যের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্পত্তি দিন দিন অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে যাচ্ছে। কোন কোন দখলদার ওইসব সম্পত্তির দখল পজিশন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আবার অনেকে দখলকৃত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে মার্কেট, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি স্থাপনা তৈরি করছে।
সম্প্রতি সান্তাহার জংশন শহরের আয়েজ প্লাজার পূর্বধারে রেলের সীমানা নির্ধারণ না করে প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তিতে শহরের ব্যবসায়ী রাজকুমার সাহার ছেলে রাকেশ কুমার সাহা বহুতল ভবনসহ মার্কেট নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রেলের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা বিষয়টি জানার পরও ব্যবস্থা না নেয়ায় কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও লেভেল ক্রসিং রেলগেটের ভেতর গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকানপাট। ফলে ঝুঁকিতে চলছে ট্রেন। রেল পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্টেশন মাস্টার মো. হাবিবুর রহমান হাবিবসহ রেল বিভাগের লোকজন।
এ বিষয়ে সান্তাহার এসএসএ-ই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ফিল্ড- কানুনগো, আরএনবি, রেলওয়ে থানা, ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা পাকশি, এ,ই-এন রাজশাহীকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী প্রকেীশলী এ,ই এন মো. আবু জাফর বলেন, বিষয়টি দেখছি। রেলের জায়গা কেউ দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান্তাহার ফিল্ড কানুনগো এস টি উই মো. মহসীন আলী বলেন, সীমানা নির্ধারণ না করে নির্মাণ কাজ করতে দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মনজের আলী বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছি কিনা তা আমার জানা নেই আর রেল লাইন থেকে ১০ ফিটের বাইরে আমরা কিছু করতে পারিনা। বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী রাকেশ সাহার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সান্তাহারে-রেল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ