পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর হাতিরঝিলে গত বছরের আগাস্টে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্কুলছাত্রী মাহমুদা আক্তার বিথীর মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যাকান্ড ছিল বলে মনে করছেন তার পরিবার। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলন বিথীর মা রওশন আরা বলেন, এখন বুঝতে পারছি, এটি দুর্ঘটনা ছিল না। বিথীকে কৌশলে হাতিরঝিলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিথী ধলপুর কিন্ডারগার্টেন হাই স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত। তাদের বাসা গোলাপবাগে। তার বাবা একজন চা দোকানি। গতবছর ১৪ অগাস্ট বিথী পাশের বাসায় তার এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। পরে তারা বেড়াতে বের হয়।
রওশন আরা বলেন, বিথীর ফিরতে দেরি হওয়ায় সেদিন অনেকবার ফোন করলেও সে ধরেনি। এক পর্যায়ে রাসেল নামের এক ছেলে সেই ফোন ধরে জানায় বিথী দুর্ঘটনায় পড়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রওশন আরা বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে বিথীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই। তখন রাসেল জানায় মুগদায় রিকশায় আসার পথে অটোরিকশার ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটেছে। অচেতন বিথীকে ঢাকা মেডিকেল থেকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ অগাস্ট রাত ১টায় দিকে মারা যায় মেয়েটি।
তিনি আরো বলেন, বিথি দুই দিন অচেতন ছিল, আসলে কী ঘটেছিল তার কাছ থেকে তা জানা যায়নি। তবে তার বান্ধবী বলেছিল, মোটরসাইকেলে করে হাতিরঝিলে ঘুরতে গিয়েছিল তারা। নাইম নামের এক ছেলের মোটরসাইকলে উঠেছিল বিথী। এক পর্যায়ে বাইক থেকে তাকে ফেলে দেয় নাইম। এতে সে গুরুতর আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিথীকে তার বান্ধবী ও রাসেল ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলেও নাইম সেখান থেকে ‘পালিয়ে যায়’ বলে রওশন আরার ভাষ্য। এ ঘটনায় বিথীর বাবা মো. বিল্লাল হোসেন গত ১৬ আগাস্ট সড়ক দুর্ঘটনা আইনে একটি মামলা করেন। সেখানে নাইম, রাসেল ও বিথির সেই বান্ধবীকে আসামি করা হয়। বারবার পুলিশকে বলা হলেও তারা নিজেদের ইচ্ছায় মামলার এজাহার তৈরি করেছে, আর বিথীর বাবা সাধারণ চায়ের দোকানদার, না বুঝে তাতে স্বাক্ষর করেছে। বিথীর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তার মা। বিথীর খালা ঝর্না বেগমও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে হাতিরঝিল থানার এসআই সুব্রত দেবনাথ বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার কথাই এসেছে। মহানগর ব্রিজের এক নম্বর সেতুর ঢালে যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ফেলে আরো তদন্ত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।