Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোরো বীজতলা নষ্টের উপক্রম

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৫ এএম

কুড়িগ্রামের কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদী অববাহিকার ছিন্নমূল হত-দরিদ্র মানুষজন শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এদিকে, চলতি বোরো মৌসুমের বীজতলা চারাগাছ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ১লাখ ১২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য ৬ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করেছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ১ হাজার ৪৫ হেক্টর, উপসী জাতের ৩ হাজার ৮শ’ ৬৬ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বীজতলার চারাগাছ অতিরিক্ত ঠান্ডা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উলিপুরের ধামশ্রেনী ইউনিয়নের কৃষক মজিবর রহমান জানান, শীতে অর্ধেক বীজ জন্মায়নি। এছাড়াও বীজতলার চারা গাছ শীতের কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদী অববাহিকার বেশির ভাগ বীজতলা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

মঞ্জুরুল হক আরও জানান, বোরো বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। তবে চলতি বোরো মৌসুমে চাহিদার চেয়ে বেশি বীজতলা তৈরি করায় বীজ চারা সংকটের কোন সম্ভবনা নেই।

এদিকে, দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। রাতে কুয়াশায় ঢেকে যায় জনপদ।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, বর্তমানে এ অঞ্চলে তীব্র ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশা পড়ছে। সেই সাথে কয়েকদিন ধরে এ জেলায় উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। যা চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বীজতলা-নষ্টের-উপক্রম

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ