Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন জগতের ছয় জন পাচ্ছেন একুশে পদক

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:১১ পিএম

শিল্পকলার ছয় জনসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান স্বরূপ তিন ভাষা সৈনিক, তিন মুক্তিযোদ্ধা, তিন সাহিত্যিক, সাংবাদিকতা, গবেষণা, অর্থনীতি ও আলোকচিত্রে একজন করে মোট ২১ জনকে এবছর একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অনুষ্ঠান) অসীম কুমার দে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বিনোদনে পাচ্ছেন ছয়জন।

এবছর বিনোদন জগত থেকে এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়া ছয়জন হলেন- পাপিয়া সারোয়ার (সংগীত), রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনয়), সুজাতা আজিম (অভিনয়), আহেমদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র) এবং ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (আবৃতি)।

সংগীতশিল্পী ও রবীন্দ্রসংগীতের প্রকাশক পাপিয়া সারোয়ার ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে সংগীতের দীক্ষা নেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে পান বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ।

বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। ১৯৭১ সালে তিনি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। এরপর ১৯৭২ সাল থেকে মঞ্চ নাটকে এবং পরের বছর থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে চার বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

অভিনেত্রী সুজাতা আজিম হচ্ছেন রূপালি পর্দার প্রথম ‘রূপবান’। ১৯৬৫ সালের ‘রূপবান’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। এছাড়া বহু স্মরণীয় চরিত্রে তাকে দেখা গেছে। তবে ১৯৭৮ সালের পর প্রায় একযুগ তিনি অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। বর্তমানে তিনি আবার নিয়মিত হয়েছেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের বিকাশে যে কয়জন মানুষের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে, তাদের মধ্যে আহমেদ ইকবাল হায়দার অন্যতম। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রামের ‘তির্যক’ নাট্যদলের প্রধান।

সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং কাহিনীকার। তিনি ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’-এর কাহিনী লিখে ‘বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’-এ শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি একাধারে বাংলা উচ্চারণ বিশেষজ্ঞ, আবৃত্তি শিল্পী, নাট্যাভিনেতা ও লেখক। তথ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের একজন অধ্যাপক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ