পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনী রাজ-বাদশাহদের তালিকা প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পত্রিকা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজা হিসেবে তাদের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন থাইল্যান্ডের মহা ভাজিরালঙ্কর্ন। তবে, নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দ্য ক্রাউন’-এর রাজকীয় জাঁকজমক আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিলেও শীর্ষ ৫-এ স্থান পাননি ব্রিটেনের রানী ২য় এলিজাবেথ। তালিকায় ভাজিরালঙ্কর্নের ঠিক পরেই যথাক্রমে অবস্থান করছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসান আল বলকিয়াহ, মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদ ৬ষ্ঠ।
থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালঙ্কর্ন বা রামা এক্স দেশটির চক্রি রাজবংশের ১০ম রাজা হিসাবে ২০১৬ সালে তার বাবা রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজ’র মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তার সম্পদের বর্তমান মূল্য ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফরচুনের মতে, রাজা ভাজিরালঙ্কর্নের সম্পদের বেশিরভাগ অংশ থাইল্যান্ডের বৃহত্তম ঋণদাতা সিয়াম কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং দেশের বৃহত্তম বহুমাত্রিক শিল্প সংস্থা সিয়াম সিমেন্ট গ্রুপের ২৩ শতাংশ অংশীদারীত্ব থেকে এসেছে। তার সম্পদের তালিকাতে প্রায় ৬ হাজার ৫শ’ হেক্টর বা ১৬ হাজার একর গুরুত্বপূর্ণ জমি এবং গৃহ নির্মাণকারীদের সাথে প্রায় ৪০ হাজার লিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শোনা যায় যে, রাজা উড়তে পছন্দ করেন এবং নিত্য নতুন বিমান কিনতে তার অর্থ ব্যয় করেন। সম্ভবত তিনি সেগুলোর অংশীদারীত্ব তার রয়্যাল কনসোর্ট সুুযোগ্য পাইলট সিনিনাত ওয়ংভাজিরাপাকদির সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত থাই রাজপরিবারের ৩৮টি জেট প্লেন এবং হেলিকপ্টার রয়েছে বলে জানা গেছে।
আমরা কখনও এমন দিন কল্পনাও করতে পারিনি, যখন ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়া আর পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী শাসক থাকবেন না। তবে তালিকার ২য় অবস্থানে নেমে যাওয়া অবশ্যই ব্রুনাইয়ের শাসকের পক্ষে মাথা ব্যথার বিষয় নয়। কারণ তার আনুমানিক ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মোট সম্পদ এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি তার বেশিরভাগ সম্পদ দেশের বিশাল এবং বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ তেলের মজুদগুলো থেকে উপার্জন করেন। এ সম্পদের বেশিরভাগ অংশ অবশ্যই তার ১ হাজার ৭শ’ ৮৮ কক্ষের প্রাসাদ ও তার ৫ হাজার গাড়ির (শত শত রোলস-রয়েসসহ) বহর রক্ষণাবেক্ষণ এবং তার নিয়মিত ২০ হাজার মার্কিন ডলারের চুল কাটার জন্য ব্যয় হয়।
সউদী আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সউদের প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের সম্পদ তাকে বিশ্বের ৩য় ধনী রাজা-বাদশাহদের অন্যতম করে তুলেছে। তিনি তার সম্পদ রাজপরিবারের আনুমানিক ১.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবসা-বাণিজ্যে তার অংশীদারীত্ব থেকে অর্জন করেছেন, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং সউদী আরামকোর পেট্রোলিয়াম। অন্যান্য রাজ শাসকদের মতো বাদশাহ সালমান ও তার ৩৪ বছরের ছেলে সউদীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান অত্যন্ত ব্যয়বহুল ইয়ট এবং চিত্রকর্মের প্রতি অনুরাগের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন বলে জানা যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে ধনী আমির বংশ পরম্পরায় আবু ধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহ্ইয়ানের অবস্থান তাকে তালিকার ৪র্থ ধনী শাসক করে তুলেছে। বর্তমানে বাদশাহ একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে, যার মূল্য ৮শ’ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার বেশিরভাগ সম্পদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেলের মজুদ থেকে আসে। পানামা পেপারস্ থেকে সংগৃহীত তথ্যের বরাতে জানা যায় যে, তিনি লন্ডনে ১.৭ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলার মূল্যমানের অনেকগুলো বিলাসবহুল সম্পত্তির মালিক।
মোট ২ বিলিয়ন থেকে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের সম্পদ নিয়ে মরক্কোর শাসনকর্তা বাদশাহ মোহাম্মদ ৬ষ্ঠ বিশ্বের ৫ম ধনী রাজবংশীয় শাসক হিসাবে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। তিনি তার মরহুম পিতা বাদশাহ হাসানের কাছ থেকে সোসিয়েটে ন্যাসিওনাল ডি’ইনভেস্টিসমন (এসএনআই) ওরফে আল-মাদা হোল্ডিং কোম্পানির ৩৫ শতাংশ শেয়ার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার পর তার মোট সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তার সম্পদের তালিকায় মরক্কোর বৃহত্তম ব্যাংক আত্তিজারিওয়াফা, খনি খনন সংস্থা ম্যানেজেম, চিনি উৎপাদনকারী সংস্থা কসুমার এবং দুগ্ধ প্রাক্রিয়াজাত সংস্থা সেন্ট্রাল ড্যানোনও রয়েছে। আলাউইট রাজবংশের এ বংশধর কীভাবে তার অর্থ ব্যয় করেন, সে সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। তবে ফোর্বসের মতে, ২০১৪ সালে তিনি আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী রাজ-শাসক হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। সেসময় তার প্রাসাদ পরিচালনার দৈনিক ব্যয় ছিল ৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।