মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দেশটির পুলিশ গতকাল বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করেছে। এসব অভিযোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সু চি। তবে এখন পর্যন্ত সু চি কী অবস্থায় এবং কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
সু চির বিরুদ্ধে করা পুলিশের এফআইআরের তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সু চি। বিভিন্ন সূত্র বলছে, রাজধানী নেপিডোতে নিজ বাসভবনেই আটক আছেন অং সান সু চি। তবে সরকারি কোনো সূত্র এটি নিশ্চিত করেনি।
সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি আইনে অভিযোগ করা হয়েছে। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এনএলডির প্রেস কর্মকর্তা কি তোয়ে দলের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে দখিনাথিরি আদালত সু চির ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আমদানি-রফতানি আইনে এই রিমান্ড দেয়া হয়েছে’।
জানা গেছে, সু চির বাড়ি থেকে ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে, যা তিনি বেআইনি যোগাযোগ যন্ত্র আমদানি করে ব্যবহার করছিলেন। এছাড়া মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উই মিন্তের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের সময় তাকেও আটক করা হয়েছিল। জানা গেছে, উই মিন্তের বিরুদ্ধে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে মিয়ানমারে। নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। দেশটির প্রধান শহরগুলোয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা স্থানীয় সময় গতকাল থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। সেনা শাসনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন একজন চিকিৎসক। তরুণ ও শিক্ষার্থীরা অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। এছাড়া ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার মিয়ানমারে অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে তারা। সেনা কর্তৃপক্ষ দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। একই সঙ্গে সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতাদের অন্তরীণ করা হয়েছে। আইনপ্রণেতাদের করা হয়েছে গৃহবন্দি। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।