Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়ে কৃষিজ অর্থনীতির সম্ভাবনা

খাগড়াছড়িতে বারি-২ জাতের কমলার চাষ

খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

আকারে ছোটো এবং গোলাকার বারি কমলা-২ জাতের এই কমলা দুই থেকে তিন বছর আগে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবন করা হয়। তবে এই চাইনিজ ছোট জাতের কমলা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে চাষাবাদের উপযোগী। নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল চাইনিজ জাতের কমলা কৃষকরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ করা গেলে পাহাড়ে কৃষিজ অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কমলা কৃষকরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ করা গেলে পাহাড়ে কৃষিজ অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এটি দেখতেও বেশ সুন্দর। বারি-২ এর মিষ্টতার পরিমাণ প্রায় ৯ শতাংশ। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মাতৃবাগানে এমন কমলার দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে কমলা জাতীয় ফলের গাছের ডাম্পিং, গ্রীনিং, গামোসিস রোগের সংক্রামণ বেশি। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে। তবে ফল পাঁকার সাথে সাথে ফল সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া বাগানে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বাগানের পোকা দমন করা যায়।
খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি কৃষি গবেষণার মাতৃবাগানে বারি কমলা-২ বা চাইনিজ কমলা গাছ রোপন করা হয়েছে। বৈশাখ অর্থাৎ মে-জুনে রোপণের সময়। তবে পাহাড়ে নিয়মিত সেচের ব্যবস্থা করা গেলে বছরের অন্যসময়ও এই জাতের কমলার চারা রোপণ করা যায়। রোপণের ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। সঠিকভাবে যত্ম ও পরিচর্যা করলে প্রতিটি গাছ থেকে কমপক্ষে ৫০০-৬০০ টি কমলা পাওয়া সম্ভব। গবেষণা কেন্দ্রে রোপণকৃত মাতৃবৃক্ষে বর্তমানে প্রচুর ফল ধরেছে।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ জানান, খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি-২ জাতের কমলা উদ্ভাবন করে। এটি বর্তমানে দেশে একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়ছে। এরইমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বারি-২ কমলার চাষ হচ্ছে। ভবিষ্যতে কৃষকদের সামনে বারি-২ কমলার সম্ভাবনা তুলে ধরতে পারলে তাহলে অত্যান্ত লাভজনক ফল ফসল হিসেবে পরিচিতি পাবে। বারি-২ কমলা একটি সৌর্ন্দয্য বর্ধনকারী গাছ হিসেবেও বাড়ির আঙিনায় এবং ছাদেও কমলার চাষাবাদ করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষিজ-অর্থনীতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ