বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেই কোন প্রকার বৈধ সরকারী নিয়োগপত্র কোন এক চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাজ করেন ইউনিয়ন পরিষদে। একে একে চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও তিনি থেকে যান পরিষদে। সব চেয়ারম্যান বিশেষ করে সচিবের সাথে সখ্যতায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। সচিবও নিজের প্রায় কাজের দায়িত্ব দিয়ে বসেছেন তাকে। ব্যস আর এ সুযোগে জন্ম ও মৃত্যু সনদে সচিবের সিল ব্যবহার করে স্বাক্ষর দিয়ে জন্মসনদ প্রস্তুতকারী হিসেবে কাজ করছেন বহিরাগত এক যুবক। নিয়মবহির্ভূত হলেও চেয়ারম্যান এবং সচিব তাকে সমর্থন দিয়ে কখনও স্বাক্ষর আবার কখনও সত্যায়িত করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ১ যুগ ধরে পরিষদের কেউ না হলেও কাজটি নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছেন ঐ ব্যক্তি। অবশেষে সব কিছুর উপর ছোবল পড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ করা সে সব ব্যক্তিরা। শোকজ, বহিষ্কার আর জরিমানার শিকার হলেন তারা।
বিস্ময়কর ঘটনাটি হাটহাজারী উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের। স্থানীয় সুমন নামে এক ব্যক্তি ভুল তথ্য দিয়ে একাধিকবার জন্ম সনদ নেয়। যেখানে সনদে সচিব কানু কুমার নাথের স্বাক্ষরের স্থলে ক্যাজুয়াল স্টাফ (বহিরাগত) মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর। আর সে স্বাক্ষরেই জন্ম সনদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী মোঃ আলী হাসানের স্বাক্ষর। জন্ম ও মৃত্যু সনদে যাচাই পূর্বক স্বাক্ষরের নিয়ম থাকলেও তা করেনি সচিব এবং চেয়ারম্যান। এ যেন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত কাজ সম্পাদন। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনের পরিদর্শনে গেলে এসব তথ্য উদঘাটন করেন। পরিদর্শনে এসবের প্রশ্নে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পরে চেয়ারম্যান ও সচিবকে জন্ম নিবন্ধনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদে বহিরাগত ব্যক্তির স্বাক্ষরে জন্ম সনদ প্রদান করার কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবেনা মর্মে তিন কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান একইসাথে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একাধিক সনদ নেয়া সুমনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন।
সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, পরিষদে পরিদর্শন করে জানতে পারি ঐ সচিব দীর্ঘ ১২বছর যাবৎ কোন জন্ম ও মৃত্যু সনদে স্বাক্ষরই করেন না। তার স্থলে স্বাক্ষর করেন বহিরাগত বেলাল। এভাবে কাউকে নিয়োগ দেয়ার নিয়ম নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ অনুযায়ী সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতীত ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারেন না। তাকে (বেলাল উদ্দীন) পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টা স্থানীয় সরকারকে অবহিত করা হবে বলে জানান রুহুল আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।