Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঝুলে যেতে পারে

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারে আবারো সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ঢাকাকে জাতীয় স্বার্থেই নাইপিদোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এরপর একাধিক বৈঠক ও চুক্তির পরও একবারও কথা রাখেনি নাইপিদো। ফিরিয়ে নেয়নি একজন রোহিঙ্গাকেও। তবে গত রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে শিগগিরই ফেরত নেবে মিয়ানমার। কিন্তু পরদিনই ( সোমবার) সামরিক বাহিনীর হাতে আটক হন ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিনত এবং দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। আবারও ক্ষমতার কেন্দ্রে সামরিক জান্তা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

মিয়ানমারে আবারো সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) এমদাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। এমদাদুল ইসলাম আরো বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে দ্বিতীয় সারিতে রাখবেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটা যেভাবে এগিয়েছিল তা এখন স্থগিত থাকবে। মিয়ানমারে যারাই ক্ষমতায় থাকবে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। কেননা রোহিঙ্গা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তাদের বেশিদিন আমাদের ঘাড়ে রাখা যাবে না। তবে ক্ষমতায় টিকে থাকা ও ভাবমূর্তি উন্নয়নের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে উদ্যোগী হতে পারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে কারণ তারা একবছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে দিয়ে তারা তাদের অবস্থানটির পরিমাপ করবে। চাপ সৃষ্টির একটা নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে, মিয়ানমার নিজেই করেছে। বাংলাদেশে আশ্রিত ১১ লাখ রোহিঙ্গা যাদের একজনকেও ফেরত নেয়নি তারা এমন হতে পারে তারা নাটকীয় উদ্যোগে এ বিষয়ে এক ধরনের ছাড় দিয়ে রোহিঙ্গা ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরুরও হতে পারে।

এদিকে, রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে সু চিসহ সামরিক কর্মকর্তাদের বিচার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও বিশ্বব্যাপী নিন্দার মধ্যে আদালতে তারা উপস্থিত হবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখছেন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ