নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরের মাঠে খেলা। চাইলেই যখন তখন যে কাউকেই দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে এমনটাই করে থাকেন বিশ্বের সব দলই। সেখানে আগের দিন ১৮ জনের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর এ সিদ্ধান্তটা অতিমারি করোনাভাইরাসকে মাথায় রেখে করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
মূলত মহামারি করোনাভাইরাসই বদলে দিয়েছে সব। এর কারণে ক্রিকেট থমকে যাবার পর ফের শুরু হওয়ার পর প্রায় সব দলের সদস্য সংখ্যা বাড়তি থাকে। কারণ যে কোনো সময় যে কোন খেলোয়াড় আক্রান্ত হতে পারেন। যে কারণে সময় মতো খেলোয়াড় পেতে যাতে অসুবিধা না হয় তাই বড় স্কোয়াড নিয়ে সফর করছে দলগুলো।
তবে নিজেদের ঘরে এতোটা ঝামেলা নেই। কিন্তু তারপরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে বিসিবি। সিরিজের শুরু থেকেই জৈব সুরক্ষিত বলয়ে রাখা হয়েছিল প্রাথমিক দলটিকে। সেখান থেকে মাত্র দুইজন খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া হয়েছে। বড় স্কোয়াড ঘোষণার কারণ উল্লেখ করে তাই প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘১৮ জনের স্কোয়াড দেওয়া হয়েছে মূলত কোভিড-১৯ মাথায় রেখে। কে কখন অসুস্থ হয় এটা মাথায় রেখেই আমরা স্কোয়াডটা বড় করেছি। তারপরও যাদের নিয়েছি তাদেরকে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের কথা মাথায় রেখে যে পুল আমরা করেছি বেশিরভাগকেই রাখা হয়েছে।’
পাশাপাশি খেলোয়াড়দের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখাও উদ্দেশ্য বিসিবির। নান্নুর ভাষায়, ‘যারা খেলবে না তারা যেন একটা প্রক্রিয়ায় থাকে, টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কাজ করে অভ্যস্ত হয়ে যেন আরও উন্নতি করতে পারে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এটা মাথায় রেখেই স্কোয়াডটা বড় করা হয়েছে।’
ঘরের মাঠে বরাবরই বাংলাদেশ স্পিনিং উইকেটে খেললেও স্কোয়াডে পেসারদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। চার স্পিনারের বিপরীতে আছেন পাঁচ পেসার। স্কোয়াড যেমনই হোক নিজেদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হবে বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক, ‘ঘরের মাঠে আমরা যেভাবে খেলি সেভাবেই খেলব।’ তাহলে বাড়তি পেসার কেন নেওয়া হয়েছে তার কারণটাও জানান নান্নু, ‘এখানে পাঁচ জন পেসার রাখা হয়েছে কারণ অনেকদিন পর আমরা টেস্ট খেলছি, যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে। পাঁচ দিনের টেস্ট শেষে আপনি বলতে পারেন না যে তাদের স্ট্যামিনা একই রকম থাকবে। সে হিসেবে তাদের ফিটনেস লেভেলের কথা চিন্তা করে আমরা পাঁচ জন পেসার রেখেছি। আশা করি সবার ফিটনেস লেভেলটা ভালো অবস্থায় আছে এবং দুটো টেস্টেই তাদের ভালো অবস্থানে পাবো। দলের মধ্যে স্পিনার, পেস বোলার সবাইকেই তৈরি রাখতে হয়। কারণ আমরা যখন পুল তৈরি করি তখন কিন্তু শুধু একটা টেস্ট ম্যাচ মাথায় রেখে দল করা হয়না। এটা সামনের কথা ভেবে, বিদেশের মাটিতে খেলার বিষয় মাথায় রাখা হয়। তারপরও ঘরের মাঠে স্পিনারটাই আমরা বেশি খেলি। কম্বিনেশনটা যেন ঠিক থাকে, বোলারদের স্ট্যান্ডার্ড যেন ঠিক থাকে সেভাবেই ভারসাম্য রাখা হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।