Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেয়ারবাজারে সূচকের বড় পতন, কমেছে লেনদেন দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৫৮ পিএম

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে দরপতনের পাশাপাশি কমেছে সব সূচক ও লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। একই সঙ্গে কমেছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) পতনের তালিকায় নেতৃত্ব দেয় ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল, আর্থিক খাত ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক খাতের শেয়ারের দরপতন হতে থাকে। এর সঙ্গে ধীরে ধীরে যুক্ত হয় অন্যান্য খাতও।

তবে কিছুটা ব্যতিক্রম থাকে ওষুধ ও সিমেন্ট খাতে। এই দুই খাতে পতনের থেকে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। ওষুধ খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে সাতটির। আর সিমেন্ট খাতের সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে দুইটির।

ওষুধ ও সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়লেও অন্য খাতের একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে সূচকেও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বড় হতে থাকে সূচকের পতন।

লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পতন প্রবণতা চলায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৫৬টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২১০টির। আর ৯০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৪৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৯৪১ কোটি ৮ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ১১৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবি’র ৫৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এবং লাফার্জহোলসিম।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪২টির এবং ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ