পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই কমিশনার নিয়োগে গঠিত বাছাই কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। দুদক আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী গঠিত পাঁচ সদস্যের এই কমিটির সদস্যদের মাঝে ইতোমধ্যেই যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২৮ জানুয়ারি এ বাছাই কমিটি গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ কমিটি দুর্নীতি দমন কমিশনে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ লাভের যোগ্য প্রার্থী বাছাই করবে। আগামি মার্চের মধ্য দুদক চেয়ারম্যানসহ দু’টি কমিশনারের পদ শূন্য হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ কমিটির সভাপতি। অন্য সদস্যরা হলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন এবং সর্বশেষ অবসরে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া। বিধি অনুযায়ী চারজনের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম পূর্ণ হবে। একটি কমিশনার পদের বিপরীতে কমিশনে নিয়োগ যোগ্য ২ জন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে এই বাছাই কমিটি। এর মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট দুদক আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী দু’জনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনজনের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট তিন কমিশনারের মধ্য থেকে একজনকে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। কমিশনারদের কার্যকাল ৫ বছর। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আগামী ১৪ মার্চ সংস্থাটির চেয়ারম্যান (কমিশনার) ইকবাল মাহমুদ এবং এএফএম আমিনুল ইসলামের কার্যকাল শেষ হচ্ছে। সম্ভাব্য শূন্য এ দু’টি পদ পূরণে গঠন করা হয়েছে ‘বাছাই কমিটি’।
দুদকের কমিশনার পদে নিয়োগ লাভের ‘যোগ্যতা-অযোগ্যতা’ সম্পর্কে দুদক আইনের ৮ ধারায় উল্লেখ রয়েছে। (১) ‘আইনে, শিক্ষায়, প্রশাসনে, বিচারে বা শৃঙ্খলা বাহিনীতে অন্যুন ২০ (বিশ) বৎসরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি কমিশনার হইবার যোগ্য হইবেন।’
উপধারা (২) এ কমিশনার পদে ‘অযোগ্যতা’ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের নাগরিক না হওয়া, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণখেলাপী হিসেবে ঘোষিত বা চিহ্নিত, আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দেউলিয়াত্বের দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করা, নৈতিক স্খলন বা দুর্নীতিজনিত কোনো অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক কারাদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তি, সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থাকা, দৈহিক বা মানসিক বৈকল্যের কারণে কমিশনের দায়িত্ব পালনে অক্ষম, বিভাগীয় মামলায় গুরুদন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি।’ বাছাই কমিটি এসব বিচার-বিশ্লেষণ করে উল্লেখিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণের নাম প্রস্তাব করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।