বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। একই চিত্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর। সরকারি—বেসরকারি সন্তোষজনক নানা পদক্ষেপের কারণে এই সফলতা এসেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এতে জনমনে আতংকের বিপরীতে স্বস্তি ফিরেছে।
সর্বশেষ ২৯ জানুয়ারী কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৩৫২ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে ৫ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসে। এরমধ্যে কক্সবাজার জেলায় ২ জন ও রোহিঙ্গা ৩ জন। জেলায় করোনা ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট পাওয়া ২ জন রোগী মহেশখালী উপজেলার।
এর মধ্যে কক্সবাজারে ৮৪ হাজার ডােজ করােনা ভাইরাসের টিকা আসছে আগামী কাল রােববার ৩১ জানুয়ারী সকালে। বেক্সিমকো ফার্মার একটি কাভার্ড ফ্রিজার ভ্যানে করে নির্ধারিত তাপমাত্রায় ঢাকা থেকে এসব টিকা কক্সবাজারে আনা হবে।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআই সুপার সাইফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরাে জানান, ৮৪ হাজার ডােজ করােনা ভাইরাসের টিকাতে ৮ হাজার ৪০০ ভায়ালটি রয়েছে। প্রতিটি কার্টনে এক হাজার ২০০ ভায়াল টিকা থাকবে। প্রতিটি ভায়ালে টিকা রয়েছে ১০ ডােজ। সে হিসাবে কক্সবাজারে ৪২ হাজার নাগরিককে করােনা ভাইরাসের এই টিকা দেওয়া যাবে।
এ পর্যন্ত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে মোট করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮২হাজার ৭৯৪ জনের। পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৫হাজার ৮৪২ জন। এরমধ্যে রোহিঙ্গা ছিল ৩৮৬ জন। মারা গেছে ৮৩ জন। এরমধ্যে রোহিঙ্গা মারা গেছে ১০ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫হাজার ৪৮৮ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা যায়, কোভিড—১৯ (করোনা ভাইরাস) মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনায় কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জেলা সদর সদর হাসপাতাল ও নতুনভাবে স্থাপিত ফ্রেন্ডশীপ আইসোলেশন সেন্টারসহ ৮ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ৩৭৬টি বেড প্রস্তুত করা হয়। তারমধ্যে আইসিইউ ১০টি ও এইচডিইউ বেড রয়েছে ৮টি।
এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে ১৩৭২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ৯০টি পালস অক্সিমিটার, ১৮৪টি অক্সিজেন ফ্লোমিটার, ২৮৫টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ২১টি হাইফ্লো নেসাল ক্যানুলা ও ২০টি ভেন্টিলেটর রয়েছে।
সদর হাসপাতাল ও রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু আছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট। বাকিগুলোতেও স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাছাড়া দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু পর থেকে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মাস্ক এবং সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বৃদ্ধি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোভিড—১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধেও স্বাস্থ্যকর্মীরা জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করছে এনজিও এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, করোনা নিয়ে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। যার কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে এসেছে। তবে সবাইকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। অবহেলা করলে আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্কা রয়েছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, এই শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে সকলে শংকায় ছিল। তবে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় তেমন কোন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। দেশে ইতোমধ্যে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় আসলে দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার শূণ্যে নামবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।