পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতি তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ অগ্রগতি জানতে চান।
দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় আসা ১৭ সিবিএ নেতার মধ্যে রয়েছেন, মো. মসিকুর রহমান, আজহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আব্দুল বারী, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আব্দুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আব্দুল জব্বার এবং মো. আব্দুল আজিজ। সতের বছর আগে তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অসুসন্ধানে নেমেছিলো দুদক। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। তারা নোটিশের কোনো সাড়া দেননি। দুদকও তাদের বিরুদ্ধে এ যাবত কোনো আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করেনি। এ প্রেক্ষাপটে এইচআরপিবি’র পক্ষে আবেদন জানানো হয়।
আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি মসিকুর রহমানসহ ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু দুদকের তলবে তারা সাড়া দিতে অস্বীকার করেন। অথচ অস্বীকার করার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। বিষয়টিকে উল্লেখ করে রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। রুলে উল্লেখিত সিবিএ নেতাদের আইন অমান্যের বিষয়ে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- জানতে চাওয়া হয়।
সাত বছর পর রুলের শুনানি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আইন অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নোটিশের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে এ অভিযোগে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যেহেতু সিবিএ নেতারা প্রভাবশালী এ কারণে যদি আইন তার নিজস্ব গতিতে না চলে তাহলে আইনের শাসন ব্যহত হবে। আইনের দৃষ্টিতে এটি গ্রহণযোগ্যও নয়।
দুদকের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আদালতে রুলের কোনো জবাব দাখিল করা হয়নি। তাই বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে দুদক কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা ৭ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময় দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ যুক্ত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।