পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যের লিবিয়া, ইরাক ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। বৈশি^ক করোনা মহামারিতে জনশক্তি রফতানির বিপর্যয় দেখা দিলেও রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি বাড়ছে। মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। মালয়েশিয়া লিবিয়া ও ইরাকের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশি কর্মী নিতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই দেশটিতে অধিক সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দিতে হবে। বন্ধকৃত শ্রমবাজার চালু করতে সরকারকে বেসরকারি রিক্রুট্ংি এজেন্সিগুলো সর্বাত্মক সহায়তা দিবে। নতুন নতুন শ্রমবাজার সন্ধ্যানে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শান্তিনগর ইনার সার্কুলার রোডস্থ আসর কনভেনশন হল রুমে বায়রা তৃণমূল ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে গভীর সঙ্কটে জনশক্তি সেক্টর ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বায়রা তৃণমূল ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি কে এম মোবারক উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব ফজলুল মতিন তৌহিদের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ফোরাব সভাপতি আব্দুল আলিম, বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব-১ আলহাজ আবুল বাশার, মো.মহিউদ্দিন আহমদ, মতিউর রহমান আকন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মানবপাচার আইনে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বন্দি। মানবপাচার আইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে। বায়রার সাবেক নেতা রুহুল আমিন স্বপন বলেন, লিবিয়া, ইরাক ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শিগগিরই সরকারি প্রতিনিধি দল লিবিয়ায় যাবেন। তিনি বলেন, শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হলে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অধিকার ক্ষুন্ন হয়। ইতিপূব্যে দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার কর্মী চাকরি লাভ করেছে। তিনি বলেন, আর সিন্ডিকেট নয়; উভয় সরকারের সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ীই দেশটিতে জনশক্তি রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। সবাই যাতে ব্যবসা করতে পারে সেই সুযোগ রাখতে হবে। বায়রা নেতা স্বপন বলেন, আসন্ন বায়রা নির্বাচনে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না হলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর পাহাড় পরিমাণ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের হারানো গৌরব আমাদেরকেই পুর্নরুদ্ধার করতে হবে। তিনি বলেন, এক কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশে গিয়ে আত্মহত্যা করলে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিককে মানবপাচার আইনে মামলা খেতে হচ্ছে। এ ধরনের বৈসম্য নীতিমালা মেনে নেয়া যায় না। তিনি মানবপাচার আইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।