মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২১ লাখ ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৯টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি আট লাখ ২২ হাজার ৪০১। এর মধ্যে ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে সাত কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৬ জন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টালিতে হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল সোয়া ৭টা পর্যন্ত বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ২ লাখ ১৬ হাজার ৪০৩ জন। এর অর্ধেক রোগীই শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য, ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যে। ওই সময় পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে ২১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এমন এক সময়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটির ঘর ছাড়াল যখন ভাইরাসের প্রকোপ কমিয়ে আনতে বিশ্বজুড়ে চলছে বড় আকারে টিকাদানের প্রস্তুতি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৬০ লাখ ১১ হাজার ২২২। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৩৫ হাজার ৪৫২ জনের। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছয় লাখ ৯০ হাজার ২৭৯। এর মধ্যে এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯০। এর মধ্যে দুই লাখ ১৮ হাজার ৯১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৭২। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’ মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভ‚মিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের বক্তব্য। লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়ার্ল্ডোমিটারস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।