পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চাইলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে এক ওয়েবিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, এক দশক ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমি আশা করি নতুন মার্কিন প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। কারণ, আমরা উভয় দেশই বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করি। প্রকৃতপক্ষে রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে। তিনি বলেন, এ বিষয়টি সমাধানে প্রত্যর্পণ চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ এবং এটি যুক্তরাষ্ট্র ঝুলিয়ে রেখেছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর মোট পাঁচ জন খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে। এরমধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী কানাডায় ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায় রাশেদ চৌধুরী। পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে ২০০৪ সালে অভিবাসন বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। ২০০৬ সালে ওই আপিল খারিজ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০১৬ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই আলোচনায় কোনও অগ্রগতি হয়নি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।