গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নৈতিক অবক্ষয় রোধে পাঠ্যক্রমে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (আইআইআইটি) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) এর বক্তারা। তারা বলছেন, সমাজের প্রায় সকল স্তরে মুল্যবোধ ও নৈতিকতার অবক্ষয় বিদ্যমান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ নয় বরং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েটরাই এর সাথে জড়িত। কারণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, বিশেষ করে পাঠ্যক্রমে ধর্মীয় ও নৈতিক ভিত্তি খুবই দুর্বল। অথচ নৈতিকতা ও মুল্যবোধের মূল উৎসই হলো ধর্ম এবং বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য ইসলাম।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক থিংকট্যাঙ্ক- ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (আইআইআইটি) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) এর যৌথ আয়োজনে সোমবার (২৫ জানুয়ারী) ঢাকায় অনুষ্ঠিত “আইআইআইটি- বিআইআইটি ইন্টেলেক্সুয়াল ডিসকোর্স সিরিজের” এ পর্বে “জাতীয় শিক্ষাক্রমে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদদের নিয়ে ভার্চুয়ালে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইটির নির্বাহী পরিচালক ডঃ এম আব্দুল আজিজ।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর শাহ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম। এছাড়া অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন (ধর্মতত্ত্ব অনুষদ) প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ সোলায়মান, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড.আ. ক. ম. আব্দুল কাদের, ফরিদগঞ্জ মাজিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ন মহাসচিব ডঃ এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
বক্তারা আরও বলেন, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের মাল্টিকালচার সোসাইটিতে ধর্ম তথা ইসলাম শিক্ষাকে শিক্ষার সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক রেখে পাঠ্যক্রম প্রণীত হয়েছে, এতে তাঁদের উন্নতির কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। বাংলাদেশে কেন এর ব্যতিক্রম? এদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার বিভিন্ন স্তরে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার অবস্থান ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ধর্মপরায়ন ও মুল্যবোধ রক্ষ্যায় বদ্ধপরিকর- যিনি মদীনা সনদের ভিত্তিতে দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তাই এই ব্যাপারে তাঁর মনোযোগ আকর্ষণ ও আশু হস্তক্ষেপ জরুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।