পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের শেয়ারবাজারে চলছে বেক্সিমকোর দাপট। লেনদেন ও মূল্যবৃদ্ধিতে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে আধিপত্য বিস্তার করছে এ গ্রুপের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। গতকাল সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের ৩২ শতাংশই ছিল এ গ্রুপের তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকস। গতকাল ডিএসইতে এই তিন কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ৩২ শতাংশ।
বেক্সিমকো গ্রুপের তিন কোম্পানির মধ্যে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসইতে গতকাল এককভাবে কোম্পানিটির প্রায় ৩৩১ কোটি টাকার শেয়ারের লেনদেন হয়, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ২১ শতাংশ। বেক্সিমকো লিমিটেডের গতকালের লেনদেন একক কোনো কোম্পানির এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে টেলিযোগাযোগ খাতের নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি রবি আজিয়াটার এক দিনে সর্বোচ্চ ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল।
বেক্সিমকোর গতকালের সর্বোচ্চ লেনদেনের পেছনে মূল কারণ ছিল কোম্পানিটির অবিশ্বাস্য মুনাফার খবর। এ মুনাফা ও আয়ের খবর নিয়ে গত রোববার রাত থেকে শেয়ারবাজারে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। গতকাল কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক ও অক্টোবর ডিসেম্বর সময়ের প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, করোনাকালেও কোম্পানিটির আয় অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে। তাতে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসেও বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে।
ডিএসইতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে বেক্সিমকো লিমিটেডের কর–পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এ করোনাকালে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১২০ কোটি টাকা বা প্রায় ২৫০ শতাংশ।
২০১৯ সালে জুলাই ডিসেম্বর সময়কালে বেক্সিমকোর ইপিএস যেখানে ছিল মাত্র ৫৪ পয়সা, সেটি ২০২০ সালের একই সময়ে বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা। আয়ের এ বড় ধরনের উল্লম্ফনের কারণে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও অনেক কমে গেছে।
কোম্পানির আয়ের বড় উল্লম্ফনের পরও গতকাল দিন শেষে বেক্সিমকোর শেয়ারের দামের বড় ধরনের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম মাত্র ২০ পয়সা বেড়েছে। যদিও এর আগে বড় ধরনের কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই মাত্র তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৬৯ টাকা বা ৩৩৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৯ টাকা। তিন মাস আগেও এ শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ২০ টাকা। এ ছাড়া এই গ্রুপের অপর প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার দাম তিন মাসে ৮২ টাকা বা ৬৯ শতাংশ ও শাইনপুকুর সিরামিকসের দাম সাড়ে ১৩ টাকা বা ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে লেনদেন ও মূল্যবৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।